রাজীব ধরা দিন, মন্তব্য হাইকোর্টের

এ দিনই শিলিগুড়িতে রাজীবের ‘নিখোঁজ’ থাকা প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‘আমি কারও নাম উল্লেখ করছি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

সারদা মামলায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

এ দিনই শিলিগুড়িতে রাজীবের ‘নিখোঁজ’ থাকা প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‘আমি কারও নাম উল্লেখ করছি না। তবে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে ননয়। আর যাঁরা আইন নিয়েই কাজ করেন, তাঁদের তো সবার আগে আইন মোতাবেক কাজ করাটা জরুরি।’’

গত সোমবার হাইকোর্টে রাজীবের তরফে আগাম জামিনের আবেদন পেশ করেন তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা কুমার। এ দিন বিচারপতি সহিদুল্লা মুনশি ও বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের কাছে অবিলম্বে শুনানির জন্য আবেদন জানান রাজীবের আইনজীবীরা। বিচারপতি মুনশি জানতে চান, জরুরি ভিত্তিতে শুনানির প্রয়োজন কেন? রাজীবের আইনজীবীরা জানান, আজ, ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার তাঁর ছুটির মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তখনই বিচারপতি দাশগুপ্ত রাজীবের আইনজীবীদের বলেন, ‘‘যান। গিয়ে আত্মসমর্পণ করুন।’’ জামিন-মামলার শুনানি আজ, বুধবার দুপুরে হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতিরা

Advertisement

এ দিকে, ইতিমধ্যেই রাজীবের তরফে সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে রয়েছেন। ছুটি শেষ হলে তিনি কাজে যোগ দিয়ে সিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করবেন। তবে রাজীব ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আদৌ আবেদন করেছেন কি না, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি নবান্নের শীর্ষ কর্তারা।

গত শনিবার আলিপুর আদালতের ভারপ্রাপ্ত জেলা বিচারক সুজয় সেনগুপ্ত রাজীবের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁর লিখিত নির্দেশে বলেছেন, রাজীবকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা জরুরি বলে তিনি মনে করেন। বিচারকের পর্যবেক্ষণ— রাজীব তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কোনওরকম সহযোগিতা করেননি। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্তকারীদের হেনস্থা করেছেন। ল্যাপটপ, মোবাইলও নিখোঁজ করে দিয়ে অপরাধীদের আড়াল করতে চেয়েছেন।

সোমবার রাতে রাজীবের খোঁজে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার একটি নার্সিংহোমে সিবিআইয়ের দল হানা দেয়। সেখানকার রেজিস্টার পরীক্ষা করেন অফিসারেরা। তার পরে নার্সিংহোমের বিভিন্ন কেবিনও ঘুরে দেখেন তাঁরা। মঙ্গলবার ভোরের দিকে বজবজে আরও দু’টি নার্সিংহোমে হানা দেন অফিসারেরা। সোমবার রাতেই সিবিআইয়ের অন্য একটি দল ফলতার বেশ কয়েকটি রিসর্টে হানা দেয়। কোথাওই রাজীবের খোঁজ মেলেনি।

সিবিআইয়ের অনুমান, শাসক দলের প্রভাবশালী এক নেতার আশ্রয়ে থাকতে পারেন রাজীব। তাই, যে এলাকায় সেই নেতার প্রভাব রয়েছে, সেখানকার বিভিন্ন রিসর্ট ও নার্সিংহোমে হানা দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগে রাজীবের এক দেহরক্ষী কিছুক্ষণের জন্য তাঁর মোবাইল ফোনটি অন করেন। তখন দেখা যায়, তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার পর থেকেই ওই এলাকার উপরে নজর পড়ে সিবিআইয়ের।

মঙ্গলবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল হানা দেয় পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা, কোলাঘাট ও তমলুকে। সেখানেও বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে খোঁজখবর নেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement