—প্রতীকী ছবি।
বর্ধমান জেলার প্রাথমিক স্কুল সংসদ কেন গঠিত হয়নি সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। দুই প্রাথমিক শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত মামলায় শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ এই নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দুই শিক্ষকের বদলির নির্দেশও ২৩ অগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই মামলাটি শুধু বর্ধমান জেলা নিয়ে হলেও রাজ্যের বহু জেলাতেই প্রাথমিক স্কুল সংসদ কার্যত শুধু চেয়ারম্যান নিয়েই চলছে। পুরোদস্তুর সংসদ সেখানে নেই।
মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ওই দুই শিক্ষককে এর আগে একবার উদ্বৃত্ত শিক্ষক (অর্থাৎ এমন স্কুলে আছেন যেখানে পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষক বেশি) হিসেবে বদলি করা হয়েছিল। ফের একই কারণ দেখিয়ে তাঁদের বদলি করা হয়েছে। এই উদ্বৃত্তের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন যেমন আছে, তেমনই বদলির নির্দেশের বৈধতা নিয়েও আছে। কারণ, পূর্ণাঙ্গ সংসদ এই বদলি করতে পারে। কিন্তু এখানে শুধু চেয়ারম্যান করেছে। সংসদের তরফে কোর্টে জানানো হয় যে পূর্ণাঙ্গ সংসদ নেই বলেই চেয়ারম্যান একার সিদ্ধান্তে বদলি করেছেন। এর পরেই আদালতে ফিরদৌস রাজনৈতিক প্রভাবের কথা বলেন। তিনি জানান যে বর্ধমানের জেলা সংসদ প্রধান মধুসূদন ভট্টাচার্য মেমারির তৃণমূল বিধায়ক। শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে যাতে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় সেটা নিশ্চিত করেই সংসদ গঠন না করে শাসক দলের নেতাদের ওই পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। এর পরেই বিচারপতি সংসদ কেন গঠিত হয়নি সে ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেন। আগামী ৯ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনই ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।