বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলানো তাঁর কাছে নতুন নয়। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের সময়ে জম্মু-কাশ্মীর হাই কোর্টের ভার ন্যস্ত ছিল বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের উপরেই। সেখান থেকে বদলি হয়ে কলকাতা হাই কোর্টে। জানুয়ারিতে এই হাই কোর্টে যোগ দেওয়ার সময়ে অবশ্য তিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন না। কিন্তু সিনিয়র হিসেবে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণনের পরেই ছিলেন। ২৯ এপ্রিল বিচারপতি রাধাকৃষ্ণনের অবসরের পরে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
কোম্পানি, শ্রম, সম্পত্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, এক সময়ে কলকাতার অন্যতম দুঁদে ব্যারিস্টার হিসেবে পরিচিত অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৪) বর্তমানে বিচারপতি। প্রবীণ আইনজীবীদের কাছে তাঁর ভাবমূর্তি শান্ত কিন্তু দৃঢ় বিচারপতির। গত বছর হাই কোর্টের যে ডিভিশন বেঞ্চ কোভিড-কালে দুর্গাপুজোর ভিড় এবং কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তিনি। এই ডিভিশন বেঞ্চের আর এক সদস্য বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
কলকাতার সন্তান বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারও ওকালতি পেশার সঙ্গে যুক্ত। বাবা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাই কোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী। বিলেত থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করে এসে ১৯৯১ সালে অরিজিৎবাবু ওকালতি পেশায় যোগ দেন। ২০১৩ সালে কলকাতা হাই কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন। ২০১৬ সালে স্থায়ী বিচারপতি। হাই কোর্টের আইনজীবীরা বলেন, সংবিধান-সহ আইনের নানা বিষয়ে প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য রয়েছে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এজলাসে তাঁর শান্ত, সৌম্য কিন্তু দৃঢ় মনোভাবের জন্য প্রবীণ, বাঘা আইনজীবীরাও তাঁকে সমীহ করেন।
হাই কোর্ট সূত্র অনুযায়ী, ১৯৬১ সালে অম্বালায় জন্ম বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের। আইনে স্নাতক হওয়ার পরে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু। হরিয়ানা সরকার এবং চণ্ডীগড় প্রশাসনের কৌঁসুলি ছিলেন। পঞ্জাব ও হরিয়ানার মধ্যে শতদ্রু-যমুনা জলবণ্টন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হরিয়ানা সরকারের হয়ে সওয়াল করেন। ২০০৬ সালে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের বিচারপতি হন। ২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মীর হাই কোর্টে বদলি হন তিনি। পরবর্তী কালে সেখানেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন।