হাই কোর্টের নির্দেশ, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ওই আট ডিএ আন্দোলনকারীকে। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্ট ৮ জন ডিএ আন্দোলনকারীকে আগাম জামিন দিল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের আগাম জামিন দিয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ওই ৮ ডিএ আন্দোলনকারীকে।
আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে ডিএ আন্দোলনকারীদের ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ ওই ৮ জনকে আগাম জামিন দিয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হেতু তাঁরা সরকারি কর্মচারী, তাই তাদের ক্ষেত্রে কোনও শর্ত দিল না আদালত। তবে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে তাঁদের।
ডিএ আন্দোলনকারীরা ২ কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দেবপ্রসাদ হালদার নামে এক ব্যক্তি। যদিও অডিট করে দেখা যায়, চাঁদা হিসাবে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা উঠেছে। সবটাই হিসাবের মধ্যে রয়েছে।
ডিএ আন্দোলনকারী ভাস্কর ঘোষ, নির্ঝর কুন্ডু, রাজীব দত্ত, চন্দন চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, শৈবাল সরকারের নামে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। আদালতে আগাম জামিনের আবেদনের পক্ষে আইনজীবীদের বক্তব্য, দেবপ্রসাদ হালদার আগে তাঁদের কাছে আন্দোলন তুলে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই পরামর্শ না মানার পর টাকা নয়ছয়ের মিথ্যে অভিযোগ করা হয়।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র দাবিতে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনারের নীচে অবস্থান করছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। চলতি মাসের শুরুতেই সেই আন্দোলন ১০০ দিন পার করেছে। অবস্থানের পাশাপাশি ৪৪ দিন ধরে অনশনও করেছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি, ডিএ-র দাবিতে ধর্মঘট করেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁরা কর্মবিরতিও পালন করেছেন। একই সঙ্গে ‘ডিজিটাল অসহযোগিতা’র পথেও হেঁটেছেন আন্দোলনকারীরা। গত ৬ মে দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে মিছিল করেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ওই মিছিল যায় হরিশ মুখার্জি রোড ধরে। যেখানে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের পাড়া। ওই রাস্তা ধরে মিছিল করে হাজরা মোড়ে সভা করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমান হারে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়ার দাবি দীর্ঘ দিনের। এই নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও হয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে আদালতে ডিএ মামলার শুনানি।