শুভেন্দু অধিকারী —ফাইল চিত্র।
কোতুলপুরে শুভেন্দু অধিকারীদের সভা এবং বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে অনুমতি দেওয়ার জন্য আধ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল বাঁকুড়ার পুলিশকে। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, আধ ঘণ্টার মধ্যে নির্দেশ কার্যকর না হলে পুলিশকে হাজিরা দিতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার আচমকাই কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। তার পর বিজেপিকে নিয়ে নানা সভায় খড়্গহস্ত তিনি। তাঁর পাল্টা জবাব দিতে কোতুলপুরের মাটিকেই বেছে নিয়েছে বিজেপি। শুরু হয় বিজয়া সম্মিলনী এবং সভার আয়োজন। বুধবার সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর থাকার কথা। মঙ্গলবার বিজেপি নেতৃত্ব জানান, পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বুধবার বেলা গড়িয়ে গেলেও সেই অনুমতি আর মেলেনি। অন্য দিকে, মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এক-দু’জন করে বিজেপি কর্মীরাও মঞ্চে আসতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় হাই কোর্টের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে ছিল বিজেপি। দুপুরে আদালত পুলিশকে সময় বেঁধে দিল। জানিয়ে দেওয়া হয়, আধ ঘণ্টার মধ্যে অনুমতি না দিলে পুলিশকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, দুপুর ২টোর মধ্যে পুলিশ অনুমতি না দিলে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপারকে হাজিরা দিতে হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘কেন অনুমতি নয়, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে পুলিশ সুপারকে। না হলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করব।’’
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে কোতুলপুরের বিধায়কের দলবদলে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। তার মধ্যে গত বেশ কিছু দিন ধরে বাঁকুড়ায় গোষ্ঠীকোন্দলের সমস্যায় ভুগছে বিজেপি। তাই এই সভার মাধ্যমে বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের বার্তা দিতে চান নেতৃত্ব।
হাই কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, ‘‘আশা করি, কিছু ক্ষণের মধ্যেই অনুমতি এসে যাবে। বিজয়া সম্মিলনীর অনুমতির জন্য কেন আদালতের কড়া নাড়তে হবে? এখন পুলিশ অনুমতি না দিলেও সভা হবে।’’