বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, পড়াশোনার ক্ষতি করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ধর্নার অধিকার থাকতে পারে না। ফাইল চিত্র ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে ধর্না নয়। ধর্না দিতে হবে ক্যাম্পাসের বাইরে। মূল প্রবেশদ্বার থেকে ৫০ মিটার দূরে। বুধবার আসানসোল পুলিশ কমিশনারকে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে চলতে থাকা ধর্না বন্ধ করানোর নির্দেশ দিয়ে এমনটাই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। ধর্না সরাতে প্রয়োজনে পুলিশ নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে বলেও নির্দেশ উচ্চ আদালতের।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, পড়াশোনার ক্ষতি করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ধর্নার অধিকার থাকতে পারে না। কোনও ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং পড়ুয়াদের ঢুকতে বা পঠনপাঠনে বাধা দেওয়া যাবে না। ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্না সরাতে আসানসোলের পুলিশ কমিশনারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে ধর্নায় অংশগ্রহণকারীদের সরাতে পুলিশ নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে বলেও বিচারপতির নির্দেশ। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি মান্থার বলেন, ‘‘ধর্না কর্মসূচিতে বসতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রবেশদ্বার থেকে ৫০ মিটার দূরে বসতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ধর্না দিয়ে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে ক্ষতি করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকা কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাই কোর্টে জানান, ধর্না মঞ্চের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজকর্মে অসুবিধা হচ্ছে। প্রভাব পড়ছে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনেও। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান, পুলিশ অভিযোগ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিল। আন্দোলনকারীদের বোঝানোরও চেষ্টা করা হয়। তবে ধর্না তুলে দিতে জোর খাটানো হয়নি। লাঠিচার্জ করাও যায়নি। এর পরই আসানসোল পুলিশ কমিশনারকে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে ধর্না বন্ধ করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।