Fake Caste Certificates

নকল জাতি শংসাপত্র দিলে কড়া ব্যবস্থা! রাজ্যকে নির্দেশ দিয়ে হাই কোর্ট বলল, একটিও পচা আপেল নয়

দু’দিন আগেই এ ব্যাপারে হুঁশিয়ার করেছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারের একটি সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘আদিবাসীদের নামে অনেকে জাল সার্টিফিকেট হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

বেআইনি ভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে নকল জাতি শংসাপত্র বানালে, তা হবে ফৌজদারী অপরাধ। মঙ্গলবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজ্যেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘এই ঘটনা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। অবিলম্বে সরকারকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে যদি একটিও পচা আপেল থাকে, তবে রাজ্যকে তার তদন্ত করতে হবে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত দু’দিন আগেই এ ব্যাপারে হুঁশিয়ার করেছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারের একটি সভা থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘নকল জাতি শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। আদিবাসীদের নামে অনেকে জাল সার্টিফিকেট হয়েছে। আমরা রিভিউ করে দেখেছি। এর মধ্যে অনেক বাতিল হয়েছে।’’ পরেও এমন জাল শংসাপত্রের খবর পেলে এবং তার উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারলে সেই জাল শংসাপত্র বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর ওই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার হাই কোর্টও একই কথা বলল।

হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। শুনানিতে তাঁরা বলেন, ‘‘একটিও জাল জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট মহকুমাশাসকের উপর বর্তাবে।’’ রাজ্যকে এই মর্মে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশিই বলে দেন, এই ধরনের অপরাধ করলে অপরাধীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং ফৌজদারী অপরাধের ধারা প্রয়োগ করে রাজ্যকে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

Advertisement

প্রধান বিচারপতির কথায়, ‘‘গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্যে একটা পচা আপেল থাকলেও রাজ্য তার তদন্ত করতে বাধ্য। জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হলে তার মাধ্যমে একাধিক সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। রাজ্যকেই সেই সুবিধা দিতে হয়। এটা মাথায় রাখা প্রয়োজন। যাঁরা এই প্রকল্পের আসল সুবিধাভোগী, তাঁরা সুবিধা না পেয়ে তাঁদের অধিকার অন্যরা পেয়ে যান। রাজ্যকে তাই এখনই তৎপর হতে হবে। কারণ,এই মামলা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।’’

কী ভাবে এই পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ করতে হবে তা-ও স্পষ্ট করে দিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, ‘‘কোথাও কোনও জাল শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না তার উপর জেলা শাসককে কড়া নজর রাখতে হবে। উপযুক্ত তদন্ত করতে হবে। জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা সমেত সার্কুলার জারি করবেন অনগ্রসর শ্রেণির উন্নয়ন দফতরের সচিব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement