—ফাইল চিত্র
তারিখের পর তারিখের ফেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বিচার ছাড়াই অনেকে এক-দেড় যুগ ধরে আটকে আছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, এক-দেড় যুগ নয়, দীপক জোশী নামে নেপালের এক নাগরিক বিনা বিচারে তিন যুগেরও বেশি (প্রায় ৪০ বছর) লৌহকপাটের আড়ালে বন্দি আছেন। এই নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুরু হয়েছে ৭৫ বছরের দীপককে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াও।
সেই প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে সোমবার এই মামলায় নেপাল দূতাবাসকে শরিক করেছে হাইকোর্ট। রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কৌঁসুলি জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, নেপাল দূতাবাসকে মামলায় শরিক করে দীপকের বাড়ির ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য বিস্তারিত ভাবে জানতে চায় আদালত। এর আগেই রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে শরিক করা হয়েছে এই মামলায়। জয়ন্তবাবু জানান, তিনি ছাড়াও এ দিনের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং হাইকোর্টের নিয়োগ করা আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়।
জয়ন্তবাবুর কথায়, ১৯৮২ সালে দার্জিলিঙে একটি খুনের অভিযোগে ধৃত দীপককে রাজ্যের অন্য জেল থেকে ২০০৫-এ দমদম জেলে আনা হয়। মানসিক ভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। এই অবস্থায় জেল থেকে ছাড়া হলে দীপক কোথায় যাবেন, তা নিয়ে বিচারপতিরা উদ্বিগ্ন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ১২ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি হবে।