(বাঁ দিকে) অধীর চৌধুরী। সুকান্ত মজুমদার (ডান দিকে)। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি ও কংগ্রেসকে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে। শুনানিতে কংগ্রেসের আইনজীবী ২৯ অগস্ট কলেজ স্কোয়্যার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের আবেদন করেন। হাই কোর্টে কংগ্রেসের এই আবেদনের বিরোধিতা করেনি রাজ্য সরকার। তাই কোনও শর্ত ছাড়াই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসকে।
অন্য দিকে, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে ধর্মতলায় অবস্থান বিক্ষোভ করতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া না পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁরা। এ দিন শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, ২৯ অগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে ধর্না অবস্থান করতে পারবে তারা। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই মঞ্চে এক হাজার জনের বেশি থাকা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবেই হাই কোর্ট থেকে অনুমতি পেয়ে খুশি কংগ্রেস ও বিজেপি— দু’পক্ষের নেতারাই।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেস-বিজেপি দু’দলের নেতারা পৃথক ভাবে নিজেদের কর্মসূচি পালন করবেন। কংগ্রেসের মিছিল এক দিনের হলেও, বিজেপির কৌশল লাগাতার ধর্নার। কিন্তু আদালতে তারা ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্তই অনুমতি পেয়েছে। কংগ্রেসের তরফে সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নিলয় প্রামাণিক বলেন, ‘‘চাপে বাপ বলতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। এর আগে আমরা কোনও কর্মসূচির জন্য আবেদন করলে তো পুলিশ জবাব দিত না। অথচ আজ যখন হাই কোর্টে আবেদন করলাম তখন রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা তার বিরোধিতা করেননি। এই চাপ সম্ভব হয়েছে রাজ্যবাসীর জন্য। তাই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে রাজ্যের মানুষকে স্বাগত জানাই।’’
অন্য দিকে, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ করতে গেলে তো কলকাতা হাই কোর্ট ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তাই কলকাতা হাই কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাই। আরজি কর হাসপাতালে যে চিকিৎসক বোনটি মারা গিয়েছেন, তাঁর মৃত্যুর বিচার এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ যত দিন না হবে, তত দিন আমাদের প্রতিবাদ চলতে থাকবে।’’