কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার কথাও ডিসেম্বরেই। ফাইল চিত্র।
আগামী ডিসেম্বর মাসেই কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিল পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। কালীঘাট মন্দির সংস্কার করে ডিসেম্বর মাসেই মন্দির কমিটির হাতে তুলে দেবে রিলায়েন্স গোষ্ঠী। সেই শর্তেই বর্তমানে তারা মন্দির সংস্কারের কাজ করছে। তাই তাদের সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার আগেই স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ শেষ করতে চায় রাজ্য সরকার। তাই পুর দফতর স্কাইওয়াক নির্মাণে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হল।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কালীঘাটের কালীমন্দির ও সংলগ্ন চত্বর সাজানোর জন্য প্রশাসনিক ছাড়পত্র এসেছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। সেই অধ্যায়েই কালীঘাটে স্কাইওয়াক নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু কোভিড অতিমারির কারণে লকডাউন শুরু হলে সেই কাজ থমকে যায়। চলতি বছর পয়লা বৈখাশের আগের দিন কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে এসে মন্দিরের সংস্কারের কাজ নিয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি মন্দির সংস্কারের যাবতীয় দায়িত্ব তুলে দেন রিলায়েন্স গোষ্ঠীর হাতে। তবে মন্দিরের বাইরের জায়গার সংস্কার ও স্কাইওয়াক নির্মাণের দায়িত্বে রাখা হয় কলকাতা পুরসভা এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরক
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কালীঘাটের স্কাইওয়াক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু হকারদের পুনর্বাসন সহ একাধিক কারণে নির্মাণের গতি শ্লথ হয়ে যায়। তবে এ বার আর কোনও রকম গড়িমসি সহ্য করতে নারাজ পুর দফতর।
কালীঘাট মন্দির ও সংলগ্ন চত্বর সাজাতে ২০১৯ সালে বরাদ্দ হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা, তা বাড়িয়ে ১৭ কোটি করা হয়েছে। দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণীর মন্দিরে যাওয়ার স্কাইওয়াকটি ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই সংস্কারের কাজে মঞ্জুর হয়েছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকা।