Tourism

পর্যটনে জোয়ার ফেরাতে পথে নামলেন ব্যবসায়ীরা

লকডাউনের জেরে গ্রীষ্মের পর্যটন এ রাজ্যে ধাক্কা খেয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৬:১৬
Share:

দেশের ছ’টি শহর থেকে ফের উড়ান চালু হওয়ার প্রথম দিনে। মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দরে। ছবি: সুমন বল্লভ

লকডাউন পর্বে প্রবল ধাক্কা সয়েছে পর্যটন ক্ষেত্র। ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের কার্যত দোকানে তালা পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দফার আনলক পর্বে পর্যটনকে উৎসাহিত করতে পথে নেমে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন।

Advertisement

মঙ্গলবার কলকাতা, দার্জিলিং-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রে সেই প্রচার হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের সদস্য এবং সুন্দরবন হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রবীর সিংহরায় বলেন, ‘‘সুরক্ষাবিধি মেনে নিরাপদে বেড়ানো যে সম্ভব সেটাই মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।’’

লকডাউনের জেরে গ্রীষ্মের পর্যটন এ রাজ্যে ধাক্কা খেয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি সূত্রের মতে, শুধু দার্জিলিঙেই ক্ষতির পরিমাণ শতাধিক কোটি টাকা। পর্যটন ব্যবসায়ী অসিত বিশ্বাসের মতে, এ রাজ্যে প্রচুর অসংগঠিত পর্যটন ব্যবসাও ছিল। সেখানে কর্মহারা বা ক্ষতির

Advertisement

অঙ্ক বাঁধাধরা গতে মিলবে না। বহু জায়গায় হোটেল-লজ বন্ধ হয়ে কর্মহারা হয়েছেন বহু মানুষ। বিভিন্ন দর্শনীয় গ্রামে পর্যটনের উপর স্থানীয় মানুষের জীবিকা নির্ভর করত, তা-ও বন্ধ হয়ে রয়েছে।

সম্প্রতি এ রাজ্যের কিছু কিছু সরকারি লজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু হয়েছে। কিন্তু পর্যটন ব্য়বসায়ী সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যালের মতে, পর্যটনের উপরে রাজস্ব ভাঁড়ার এবং জিডিপি অনেকটাই নির্ভর করে। তাই পর্যটন বন্ধের প্রভাব কেন্দ্র বুঝেছে। পর্যটন চালুর ব্যাপারে বিধিও চালু করেছে। এ রাজ্যেও তেমন কোনও বিধিসম্মত নির্দেশিকার দাবি করছেন তিনি।

দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থাকার পরে মানুষ যে ঘুরতে চাইছেন সে কথা বুঝতে পারছেন ব্যবসায়ীরাও। দিঘা-মন্দারমণিতে সপ্তাহান্তে পর্যটকের দেখা মিলছে। প্রবীরবাবুর দাবি, ‘‘আমরাও পুজোর পরে বেড়াতে যাওয়ার জন্য গ্রাহকদের ফোন পাচ্ছি।’’ অসিতবাবু বলছেন, ইদানীং মানুষ বড় হোটেলের বদলে হোম-স্টের দিকে ঝুঁকছেন। সেখানে বেশি পর্যটক থাকেন না, তাই অনেক নিরাপদও। তবে তিনি এ কথাও বলছেন, বেশ কিছু এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পর্যটক নিয়ে আপত্তি রয়েছে। তার জন্য এলাকাভিত্তিক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। একই সুর সম্রাটবাবুর গলাতেও। তিনি বলছেন, ‘‘একবারে পুরো পর্যটন শুরু করতে বলছি না। স্থানীয় স্তরে আলোচনা করে ধাপে ধাপে পর্যটন ব্যবসা চালু করা প্রয়োজন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement