মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বেশ কিছু দাবি জানিয়ে বেসরকারি বাসের মালিকেরা চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি পাঁচটি পরিবহণ সংগঠনের মঞ্চ ‘পরিবহণ বাঁচাও কমিটি’র তরফে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বাতিল হওয়া বাসকে স্ক্র্যাপ করার ও পুরনো বাসের বিকল্প নতুন পারমিট বা পুনঃস্থাপনের নির্দেশ (রিপ্লেসমেন্ট অর্ডার) পেতে টোল ফ্রি বা হোয়াটস্অ্যাপ নম্বর চালু করার দাবি জানালেন বেসরকারি বাস সংগঠনের মালিকেরা।পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত একটি মামলায় ২০০৯ সালের কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চলতি বছর ১ অগস্ট থেকে ১৫ বছরের বেশি বয়সি কোনও গাড়ি আর কলকাতায় চালানো যাবে না। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে চলতি বছর অগস্ট মাস থেকে ধাপে ধাপে কয়েক হাজার বেসরকারি বাস কলকাতার রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হবে। বেসরকারি বাস সংগঠনগুলির মতে, প্রায় আড়াই হাজার বাস রাস্তা থেকে উঠে যাবে। ধাপে ধাপে এই বাসগুলি তুলে নেওয়ার পর তা স্ক্র্যাপ করে দেওয়া হবে। সঙ্গে বিকল্প হিসাবে নতুন পারমিটও দেওয়া হবে। পরিবহণ দফতরের মোটর ভেহিকলস বিভাগ এই দায়িত্বে থাকে। জেলার রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (আরটিএ) এই কাজটি করে থাকে। কিন্তু বেসরকারি বাস মালিকদের অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে পুরনো গাড়ি স্ক্র্যাপ করার এবং পুনঃস্থাপনের নির্দেশ পেতে বহু ঝক্কি পোহাতে হয়। এমনকি, এই দুই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে ঘুষও চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাই এ বার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চিঠি লিখে এই দু’টি পরিষেবা চালু করার আবেদন জানানো হয়েছে।
২০০৯ সালে যখন কলকাতা হাই কোর্ট এই রায় দিয়েছিল, তখনও একঝাঁক বেসরকারি বাস বাতিল হয়েছিল। সে বার গাড়ি স্ক্র্যাপ করার এবং পুনঃস্থাপনের নির্দেশ পেতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী। সেই সময় এক জন আধিকারিকের ফোন নম্বর বেসরকারি বাস মালিকদের দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা অসুবিধায় পড়বেন, তাঁরা যাতে সহজেই ওই আধিকারিককে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে সমাধান চাইতে পারেন। এ ক্ষেত্রেও টোল ফ্রি নম্বর ও হোয়াটস্অ্যাপ নম্বর চালু করে সেই সুবিধাই পেতে চেয়েছেন বাস মালিকেরা।
বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘অগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমতে থাকবে। কারণ, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ। তাই যদি স্ক্র্যাপের কাজ থেকে শুরু করে রিপ্লেসমেন্ট অর্ডার সঠিক সময়ে বাস মালিকেরা করতে না পারেন, তা হলে শহর তথা রাজ্যের গণপরিবহণ ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়বে। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রী-সহ পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’