ছবি: সংগৃহীত
আরপিএফ নয়, কলকাতা-খুলনা মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে এই সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়— ‘‘এটা হবে বেনজির ঘটনা।’’
কেন এই পরিকল্পনা? রেল কর্তারা বলছেন, মূলত নিরাপত্তার কারণেই এমন ভাবনাচিন্তা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এক কর্তা জানান, কলকাতা-খুলনা পথে নাশকতার সম্ভাবনা থেকেই যায়। আবার পাচারের কারবারও চলে ওই পথে। তাই বিএসএফ-কে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। এই ট্রেনটি চলবে বনগাঁ-পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে। সূত্রের খবর, কলকাতা স্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত অংশের নিরাপত্তার দায়িত্বেই থাকছে বিএসএফ।
সূত্রের খবর, বিএসএফ-কে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে সম্প্রতি দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘ধরে নিন সেমি ফাইনাল হয়ে গিয়েছে। শুধু ফাইনালটুকু বাকি।’’ সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরে নতুন রুটে ট্রেন চলাচলের কথা। নির্দিষ্ট দিন ক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
আরও পড়ুন: ডিএ ঘোষণায় শব্দ প্রয়োগের নিন্দায় কোর্ট
কলকাতা-ঢাকা ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ চালু হয়েছে ২০০৮-এর ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষের দিন। কলকাতা-খুলনা এক্সপ্রেসের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস-২’। মোট ১৭৬ কিলোমিটার যাত্রাপথে পশ্চিমবঙ্গের অংশে রয়েছে ৮০ কিলোমিটার। রেল কর্তারা জানান— দেশের মধ্যে তো বটেই, ভারত থেকে পড়শি রাষ্ট্রে যে সব ট্রেন চলাচল করে সেখানে যাত্রী নিরাপত্তায় থাকে রেলরক্ষী বাহিনী বা আরপিএফ। যেমন, কলকাতা-ঢাকা ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’। আবার, রাজস্থান ও পঞ্জাব থেকে পাকিস্তানে যে ‘সমঝোতা এক্সপ্রেস’ যায়, সেখানেও নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে আরপিএফ। কিন্তু বিশেষ কারণে কলকাতা-খুলনা এক্সপ্রেসে পাহারার দায়িত্ব বিএসএফ-এর হাতে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
রেল সূত্রের খবর, সপ্তাহে চার দিন কলকাতা থেকে ঢাকা ট্রেনটি যায়। কিন্তু কলকাতা-খুলনা ট্রেনটি আপাতত চলবে সপ্তাহে এক দিন, বৃহস্পতিবার। কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাত্রীদের পাসপোর্ট, ভিসা চেকিং করা হয় মাঝপথে, গেদে স্টেশনে। এর জন্য ট্রেনট়িকে গেদে সীমান্তে চার ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। ফলে ঢাকা পৌঁছতে দেরি হয়। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকার কলকাতা স্টেশনে ইমিগ্রেশন কেন্দ্র খুলেছে। এখন কলকাতা স্টেশনে ট্রেনে ওঠার আগেই যাত্রীদের চেকিং করার ব্যবস্থা হচ্ছে। কলকাতা থেকে খুলনা ট্রেনটির ক্ষেত্রেও আগে চেকিংয়ের বন্দোবস্ত থাকছে।