বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলছে নিহত ফেলানি।
বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানি খাতূনকে হত্যার মামলায় অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানকে নির্দোষ ঘোষণা করল বিএসএফের বিশেষ আদালত। ২০১৩ সালেও এক বার এই হত্যা কাণ্ডের মামলায় ওই জওয়ান নির্দোষ সাব্যস্ত হন। ২০১৪ সালে মামলাটি ফের শুরু করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় কোচবিহারে বিএসএফের সদর দফতরের গঠিত বিশেষ আদালত এ বারও অভিযুক্ত জওয়ানকে নির্দোষ ঘোষণা করে। বিএসএফ আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। ওই মামলায় ফেলানির বাবাকে সহায়তাকারী বাংলাদেশের আইনজীবী আব্রাহাম লিঙ্কন বলেন, “বিএসএফের বিশেষ আদালত ফেলানি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত জওয়ানকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।”
বিএসএফ সূত্রের খবর, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কোচবিহারের চৌধুরিহাট সীমান্তে কাঁটাতার পার হওয়ার সময় বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে এক বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। কাঁটাতারের উপরে ফেলানির দেহ ঝুলে ছিল। ওই ছবি প্রকাশিত হওয়ার পরে তা নিয়ে হইচই শুরু হয়। ২০১৩ সালে বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানি হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। তাঁর বাবা নুর ইসলাম এবং মামা হানিফ মিয়াঁ আদালতে সাক্ষ্য দেন। সে বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা করে বিশেষ আদালত। তবে ২০১৩ সালেই ১৩ সেপ্টেম্বর ‘রিভিশন ট্রায়াল’ শুরু হয়। এর মধ্যে অভিযুক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফলে দীর্ঘ দিন মামলা স্থগিত থাকে। ফের বিচার শুরু হওয়ার পরে এ বারেও ওই বিশেষ আদালত বিএসএফ জওয়ানকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।