ওদলাবাড়িতে লিস নদীর জলের তোড়ে রেল সেতুর নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে রেললাইন ঝুলে পড়েছে। নিজস্ব চিত্র।
রাতভর তুমুল বৃষ্টির জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল ডুয়ার্সের সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। সোমবার রাত থেকে আচমকাই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জলের তোড়ে কোথাও ভেসে গিয়েছে সেতু, কোথাও আবার রাস্তা। ভুটানে বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের নদীগুলো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। কোথাও কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে জল।
সোমবার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়িতে। ফলে বহু নীচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বাগরাকোটের কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর জুরন্তি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড নদীর জলে ভেসে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় ডুয়ার্স থেকে একটি কলাবোঝাই পিকআপ ভ্যান শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। পিকআপ ভ্যানটিও জলের তোড়ে ভেসে যায়। চালক ও খালাসি গুরুতর জখম হন। মাল থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জখম দু’জনকে উদ্ধার করে ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, জাতীয় সড়কের এই দুর্ঘটনার মাঝেই আবার ওদলাবাড়িতে লিস নদীর জলের তোড়ে রেল সেতুর নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে রেললাইন ঝুলে পড়ে। রেলের আলিপুরদুয়ার জংশন বিভাগের ডিআরএম কনভীর সাঁই জৈন জানিয়েছেন, লিস নদীর ওপর ৭৯ নম্বর রেল সেতুর নীচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় আপাতত ডুয়ার্স রুটে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার পেরোল
প্রবল বৃষ্টিতে শিলিগুড়িতেও বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। বেশ কয়েকটি জায়গায় জল জমে গিয়েছে সারা রাতের বৃষ্টিতে। নদীগুলির জল ক্রমশ বাড়তে থাকায় আতঙ্ক বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যে। শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি সেতু বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।