প্রতীকী ছবি।
পণে মেলেনি টিভি, তাই নিয়ে ঝগড়া এবং হাতাহাতির পরে মেয়েই যেতে চাইল না শ্বশুরবাড়িতে— এমনই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পুরাতন মালদহের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খয়রাতি পাড়ায়। ঘটনায় দু’পক্ষই একে অন্যকে বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা অবশ্য বলেন, “এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি। পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খয়রাতি পাড়া এলাকার বাসিন্দা নিশীথ কুণ্ডুর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় মঙ্গলবাড়ির এক যুবতীর। যুবতীর বাবার ইংরেজবাজার শহরে কাপড়ের দোকান রয়েছে। সোমবার দুজনের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার ছিল বাসি বিয়ে। মেয়ের পরিবারের দাবি, বিয়েতে পণ বাবদ নগদ টাকা, সোনার গয়না, আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে দাবি মতো টিভি দিতে না পারায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন পাত্র পক্ষ। বিয়ে পর্ব হয়ে গেলেও তাঁরা মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝগড়া, এমনকি হাতাহাতিও হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এই পরিস্থিতিতে পাত্রীও শ্বশুরবাড়ি যেতে আপত্তি জানান। পাত্রীর এক আত্মীয় বলেন, “সামান্য টিভির জন্য মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন ছেলের বাড়ির লোকেরা। সেই পরিবারে আমরা মেয়েকে পাঠাতে চাই না।’’ পাত্রের পাল্টা বক্তব্য, “আমাদের কোনও দাবি ছিল না। বিয়ের পরে মেয়ের বাড়ির লোকেরা আমাকে ঘরজামাই থাকার প্রস্তাব দেয়। আপত্তি করতেই মারধর করে।” ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শঙ্কু সিংহ বলেন, “বিয়ে নিয়ে দু’পক্ষের একটা গোলমাল হয়েছিল। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।”