বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আর কোনও ওমিক্রন-আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। ফাইল ছবি
রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই রোগীরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, আনন্দপুরের ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি নাইজেরিয়া-ফেরত বৃদ্ধ এবং ঢাকুরিয়ার আমরিতে চিকিৎসাধীন লন্ডনফেরত তরুণের ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার আরটিপিসিআর পরীক্ষা হবে। দু’বারেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আর কোনও ওমিক্রন-আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি।
রাজ্যে চার জন ওমিক্রন রোগীর খোঁজ মিলেছে বলে যা বলা হচ্ছে, সেই ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্তাদের ব্যাখ্যা, ৬৯ বছরের ওই বৃদ্ধ এবং ১৯ বছরের ওই তরুণের ওমিক্রন ধরা পড়ে রাজ্যে আসার পরে। মুর্শিদাবাদের এক বালকের হায়দরাবাদে ওমিক্রন ধরা পড়লেও রাজ্যে ফেরার পরে তার করোনা নেগেটিভ আসে। বিদেশ থেকে আসা ওমিক্রনে আক্রান্ত এক যুবক দিল্লিতে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে শহরে ফিরেছেন। সেই সব মিলিয়েই বলা হচ্ছে, এ-পর্যন্ত রাজ্যের চার বাসিন্দা ওমিক্রনে আক্রান্ত।’’
কলকাতা পুর এলাকায় কেউ করোনা আক্রান্ত হলেই তাঁদের লালারসের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রতি মঙ্গল ও শুক্রবার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম) থেকে নমুনা পাঠানো হবে কল্যাণীতে। তাই করোনা পজ়িটিভ রোগীর নমুনা ওই দু’দিনের আগের দিনেই পৌঁছে যেতে হবে এসটিএমে। সেই অনুযায়ী এ দিন নমুনা পৌঁছেছে সেখানে। একটি বেসরকারি হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজিস্ট অরিন্দম চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ডেল্টার থেকেও দ্রুত গতিতে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। কলকাতা-সহ দেশের আটটি মহানগরে করোনা পজ়িটিভদের জিনোম সিকোয়েন্সের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল।’’