বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচার এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গুলি’ মন্তব্যের প্রতিবাদে লালবাজার অভিযানে নামে বিজেপির যুব মোর্চা। বিজেপির রাজ্য সদর দফতর মুরলীধর সেন লেনের কার্যালয় থেকে মিছিল বেরিয়ে কলেজ স্ট্রিটের দিকে যায়। কলেজ স্ট্রিটের মুখেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন শতাধিক বিজেপি কর্মী, সমর্থক।
কোন পথে হবে গেরুয়া বাহিনীর লালবাজার অভিযান, তা নিয়ে সকাল থেকেই জল্পনা ছিল। প্রথমে জানা গিয়েছিল, সকলে কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত হবেন। তার পর সেখান থেকে মিছিল এগোবে লালবাজারের দিকে। কিন্তু পরে পরিকল্পনা পরিবর্তন করে রাজ্য দফতরেই জড়ো হতে থাকেন গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকেরা। মিছিল শুরু হলে দেখা যায়, তা রাজ্য দফতর থেকে বেরিয়ে ঢুকে যায় কলেজ স্ট্রিটের দিকে। কলেজ স্ট্রিটে সারা বছরই ১৪৪ ধারা জারি থাকে। স্বভাবতই পুলিশ ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয়। সেখানেই রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিজেপি কর্মীদের অনেকের হাতেই দেখা গিয়েছে খেলনা বন্দুক। নবান্ন অভিযানে আহত কলকাতা পুলিশের এসি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতালে দেখে বেরিয়ে আসার পর অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘আমি ওই অফিসারকে বলেছি, আমি আপনাকে স্যালুট করি। আমার সামনে যদি কেউ পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিত, পুলিশকে মারত, আমি (নিজের কপালে আঙুল ঠেকিয়ে) তাদের মাথায় শ্যুট করতাম!’’ বিজেপির মিছিলে খেলনা বন্দুক নিয়ে অভিষেকের সেই মন্তব্যেরই প্রতীকী প্রতিবাদ দেখানো হচ্ছে বলে দাবি বিজেপি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁয়ের। মিছিল থেকে নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগও তোলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
বিজেপি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, ‘‘এক সাংসদ যে ভাবে মিটিং-মিছিলের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, আজ তার প্রতিবাদেই পথে নেমেছি। পুলিশের গুলি ফুরিয়ে যাবে, তবু আমাদের প্রতিবাদ থামানো যাবে না। বন্দুকের চেয়ে কলমের শক্তি যে অনেক বেশি, তা তুলে ধরতেই আমাদের হাতে রয়েছে খেলনা বন্দুক ও আসল কলম।’’
তৃণমূলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগে গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করা শিখুক বিজেপি। তার পর প্রতিক্রিয়া দেওয়া যাবে।