এভাবেই পুলিশকে মারধর করা হয়। নিজস্ব চিত্র
যানজট নয়, পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে মোদীর সভায় যাওয়া আটকাতে থামিয়ে দিয়েছে গাড়ি। কার্যত এই অভিযোগ তুলে পুলিশকে বেধড়ক মারধর করলেন বিজেপি সমর্থকরা। ঘটনায় খড়গপুর গ্রামীণ থানার ওসি-সহ আট জন জখম হন। খড়গপুরের চৌরঙ্গিতে এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদীর সভায় প্রচুর বাস, ট্রাক, ম্যাটাডোর ও অন্যান্য ছোট গাড়ি মোদীর সভায় যাওয়ায় শহরে ব্যাপক যানজট হয়। সেই কারণেই খড়গপুরের চৌরঙ্গী মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণ করছিল পুলিশ। গাড়িগুলি আটকে ধীরে ধীরে ছাড়া হচ্ছিল। কিন্তু এক সময় গাড়ি পুরোপুরি ছাড়াই বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ফলে আটকে পড়ে বিজেপি কর্মীদের অন্তত আট-দশটি বাস। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বেলা একটা নাগাদ অধৈর্য হয়ে পড়েন বিজেপি সমর্থকরা।
আর এই ক্ষোভ-রাগ গিয়ে পড়ে পুলিশের উপর। শুরু হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধর। বাঁশ, লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় খড়গপুর গ্রামীণ থানার ওসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আট পুলিশকর্মীকে। কার্যত রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় তাঁদের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সবাইকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপির সভায় প্যান্ডেল ভেঙে বিশৃঙ্খলা, আহত ৬২, হাসপাতালে গেলেন মোদী
আরও পড়ুন: মা মাটি মানুষের নামে এখানে সিন্ডিকেট চলছে, তোপ মোদীর
বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের মদতে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আটকে দিয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, মোদীর সভার জন্য বহু গাড়ি ঢুকে পড়ায় মেদিনীপুর শহর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। আরও গাড়ি ছাড়া হলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারত। সেই কারণেই গাড়ি ছাড়া হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছে, মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।