পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস মোকাবিলায় বিজেপি। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস হলে তা মোকাবিলায় আগাম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে বিজেপি। শুক্রবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিশেষ বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার।
কী ভাবে সন্ত্রাস মোকাবিলার কথা ভাবা হয়েছে তা নিয়ে অবশ্য বিধায়ক কিছু জানাননি। তবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) অমিতাভ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের পরে দলের এই পরিকল্পনা নিয়ে বিধায়কের মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বৈঠক শেষে স্বপন বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমরা কর্মীদের বুথে বুথে প্রশিক্ষণ দেব। কী ভাবে মনোনয়নপত্র জমা করতে হয়, কী ভাবে ভোটগণনা করতে হয়। কর্মী-সমর্থকদের উপরে সন্ত্রাস হলে কী ভাবে তা প্রতিহত করতে হবে— তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামপদ দাস, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। হরিণঘাটার বিধায়ক এ দিন গান করে সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা সকলেই নাগরিক। কিন্তু কত ক্ষণ? যত ক্ষণ না দেশে এনআরসি হচ্ছে। এনআরসি হলে বেআইনি ভাবে পালিয়ে আসা মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে কাটা যাবে। সকলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসাবে পরিণত হবেন।’’
ভোটে সন্ত্রাসের আশঙ্কা উড়িয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘মানুষ শান্তিতে ভোট দেবেন। বিরোধীরা এখন থেকে সন্ত্রাসের আশঙ্কা তৈরি করে নিজেদের পরাজয়ের সাফাই দিয়ে রাখতে চাইছে।’’ সিএএ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘যাঁরা ভোট দিয়ে সাংসদ-বিধায়ক নির্বাচিত করেন, তাঁরা সকলেই নাগরিক। তাঁদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হলাম। আর তাঁরা কী করে অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন! তা হলে তো সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের জয়ও অবৈধ।’’