BJP

ভিন্ ধর্মে বিয়ে ঠেকাতে রাজ্যে আইন চায় বিজেপি

বিজেপির এই পরিকল্পনাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী বাম ও কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভিন ধর্মে বিয়ে ঠেকাতে বিভিন্ন রাজ্যে ‘ধর্মের স্বাধীনতা আইন এনে’ দেশ জুড়ে বিতর্ক তৈরি করেছে বিজেপি। বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সব মানুষ ওই আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এ রাজ্যেও যে তাদের ওই আইন কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে, বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট করে দিলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে কেন্দ্র এবং অন্য রাজ্য মিলিয়ে আট মন্ত্রীকে ময়দানে নামিয়েছে বিজেপি। তাঁদেরই অন্যতম নরোত্তম এ দিন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ‘‘বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে আমি চাইব, মধ্যপ্রদেশের মতো এ রাজ্যেও ‘ধার্মিক স্বতন্ত্রতা আইন’ (ধর্মের স্বাধীনতা আইন) ও ‘গো সংরক্ষক আইন’ লাগু হোক। আপনারা যাকে ‘লাভ জেহাদ’ বলেন, তা কোনও ভাবেই চলতে দেওয়া যাবে না।’’

Advertisement

প্রত্যাশিত ভাবেই নরোত্তমের ওই মন্তব্যকে সমর্থন করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের মতাদর্শের দিক থেকে উনি ঠিকই বলেছেন। রাষ্ট্রবাদ বিরোধী আচরণ বরদাস্ত নয়। তবে এখানে ঠিক কী আইন হবে, সেটা আমরা সরকারে আসার পরে ঠিক হবে।’’

তবে বিজেপির এই পরিকল্পনাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছে রাজ্যের শাসক তৃণমূল এবং বিরোধী বাম ও কংগ্রেস। একই সঙ্গে তাদের বক্তব্য, এ রাজ্যে বিজেপি কখনওই ক্ষমতায় আসবে না। তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই কথাই তো আমরা মানুষের কাছে বলছি। বিজেপির হাতে শাসনক্ষমতার অর্থ—মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, সামাজিক ব্যবস্থা সব কিছু অন্ধকারের গ্রাসে চলে যাবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে তা-ই হচ্ছে।’’

Advertisement

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘এ সব বিজেপির দিবাস্বপ্ন। ওরা এ রাজ্যে ক্ষমতাতেও আসবে না। ফলে ওদের আর এ সব উদ্ভট আইন তৈরি নিয়ে ভাবারও সুযোগ হবে না।’’ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য মনে করিয়ে দেন, ‘‘সংবিধান দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে পছন্দমতো সঙ্গী নির্বাচন, ধর্মান্তরণ এবং পছন্দমতো খাবার খাওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে। সুতরাং, বিজেপি-র এই সব আইনই বেআইনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement