জেপি নড্ডাকে রিপোর্ট জমা দিচ্ছেন বিজেপি প্রতিনিধি। ছবি টুইটার।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করল বিজেপির বিশেষ প্রতিনিধি দল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। সেখানে ‘ঘরছাড়া’দের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি আরও ছ’টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে নড্ডা এই রিপোর্ট পাওযার কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকার নীরব দর্শক। গাফিলতি এবং নিষ্ক্রিয়তার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পাশে রয়েছে আমাদের দল।’’
নড্ডাকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, সেখানে সাতটি প্রস্তাব রয়েছে। কী কী সেই প্রস্তাব? স্থানীয় ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্যে বিজেপির দফতরগুলি সুরক্ষিত করতে হবে। ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে হবে সব কমিশনকে। প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যে সব ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তের প্রয়োজন, সেখানে হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে। প্রয়োজনে আদালতের হস্তক্ষেপে বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফেরাতে হবে। যে সব জায়গায় তৃণমূল হেরেছে, সেখানে জলের সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে, রাস্তা কাটা হয়েছে, আবর্জনা ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। ওই জায়গায় আমলাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ‘ঘরছাড়া’দের আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির দাবি, ভোটের পর দেশে ‘হিংসা’ হয়েছে শুধু পশ্চিমবঙ্গে। সেই হিংসার কারণ অনুসন্ধান করার জন্য চার সদস্যের দল পাঠানো হয়। দলের সদস্যদের মনোনীত করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নড্ডা। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লব দেব। তিনিই ওই কমিটির আহ্বায়ক। এ ছাড়া ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভা সাংসদ কবিতা পাতিদার। বিজেপির তরফে প্রেস বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, এই চার সদস্যের কমিটি পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। সেই মতো এ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিয়েছেন সদস্যেরা।