(বাঁ দিকে) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং (ডান দিকে) বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দিন দাবি করলেন, পঞ্চায়েত ভোটে এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন এর আগে বাংলা দেখেনি, সে দিনই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার চিঠি লিখলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। চাইলেন দ্রুত হস্তক্ষেপ। দাবি করলেন, রাজ্যের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত!
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, শাসকদল তৃণমূল বিরোধীদের আটকাতে গুন্ডামির আশ্রয় নিয়েছে। সর্বত্রই নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ। এ বার তা নিয়েই অমিত শাহের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠালেন সুকান্ত। সেই চিঠিতে অমিতকে সুকান্ত জানিয়েছেন, মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে রাজ্যে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বহু মানুষ আহত হয়েছেন। চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে গুলিচালনা এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনা ভয়ঙ্কর প্রবণতার দিকে ইঙ্গিত করছে। যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তা হলে তা আরও বৃদ্ধি পাবে।’’ সুকান্তের চিঠিতে রয়েছে ভাঙড় এবং চোপড়ার ঘটনার বর্ণনা। তিনি চিঠিতে দাবি করেছেন, ‘‘পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে আমি এখনই আপনার হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করছি। সুষ্ঠু নির্বাচন এবং নির্বাচকমণ্ডলীর নিরাপত্তার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে দয়া করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের রায় পালনের আর্জি জানাই।’’
চিঠিতে সুকান্ত দাবি করেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন। যদিও সেই রিভিউ পিটিশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। চিঠির শেষে শাহকে সুকান্তের আশা, ‘‘আমার বিশ্বাস, আপনার দ্রুত ব্যবস্থা এবং নির্ণায়ক পদক্ষেপে বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর ভরসা ফেরাবে।’’