বুধবার দুপুরে রানি রাসমণি রোডে। নিজস্ব চিত্র
বৃহস্পতিবার কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবারে উত্তরবঙ্গে চলে গেলেও শুক্রবার কলকাতায় ফিরে সাংগঠনিক বৈঠকে বসবেন। আলাদা করে বসবেন সাংসদ, বিধায়ক-সহ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে। তার আগে বুধবার ঐক্যের ছবি দেখাল রাজ্য বিজেপি। প্রতীকী অনশন মঞ্চে পাশাপাশি বসলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে জল্পনা বাড়ানো ব্যারাকপুরের সাংসদকেও মঞ্চে দেখা যায়। ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। লকেট যখন বক্তব্য রাখছেন তখনই বিধায়ক অগ্নিমিত্রাকে নিজস্বী তুলতে দেখা যায়।
সম্প্রতি কোনও বিতর্ক তৈরি না হলেও দিলীপ-শুভেন্দু সম্পর্ক বরাবরই রাজ্য বিজেপির আলোচনার বিষয়। কিছুদিন আগেই ‘অভিজ্ঞতা’ বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দিলীপ ও সুকান্ত। সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘সুকান্তর অভিজ্ঞতা কম’ বলে মন্তব্য করেন দিলীপ। এর জবাবে সুকান্তও দিলীপ যখন রাজ্য সভাপতি হন তখন কতদিনের অভিজ্ঞতা ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর পরে অবশ্য দিলীপ, সুকান্তকে এক সঙ্গে চুঁচুড়ায় মিছিল করতে দেখা গিয়েছে। গত সোমবারও কলকাতায় মিছিলে এক সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন দিলীপ, শুভেন্দু, সুকান্ত। সেই ঐক্যের ছবি দেখা গিয়েছে বুধবারও।
বিধানসভা নির্বাচনের পরে গত এক বছরে রাজ্যে ৫৭ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হওয়ার অভিযোগে বুধবার রানি রাসমণি রোডে প্রতীকী অনশনে বসে বিজেপি। নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য অর্থসংগ্রহও করেন নেতানেত্রীরা। ডাকা হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের সব জনপ্রতিনিধিকে। তাতে হাজিরা ভালই ছিল। তবে এর মধ্যেও দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন দুই সাংসদ। সভাস্থলে দেখা যায়নি ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম এবং সৌমিত্র খাঁকে। ছিলেন না দক্ষিণবঙ্গের দুই সাংসদ তথা মন্ত্রী সুভাষ সরকার এবং শান্তনু ঠাকুর।
শুধু পাশাপাশি বসাই নয়, বুধবার বক্তব্যেও বিজেপি নেতাদের এক সুর ছিল। গত এক বছরে বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে সরব হন সকলেই। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি থেকে তৃণমূলের অন্দরের লড়াইয়ের উল্লেখ করে আক্রমণ করেন দিলীপ, শুভেন্দু, সুকান্তেরা।