বিজেপির সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা।—ছবি পিটিআই।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে গত এক সপ্তাহ ধরে অনেক মিছিল দেখেছে কলকাতা। টানা পাঁচ দিন পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার দলের সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডাকে নিয়ে সিএএ-র সমর্থনে মিছিল করবে বিজেপি। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং ভূপেন বসু অ্যাভিনিউ ঘুরে ওই মিছিল শেষ হবে শ্যামবাজারে। মিছিল শেষে সেখানেই সভা।
রাজ্য বিজেপির বক্তব্য, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরোধীদের ‘বিভ্রান্তিমূলক’ প্রচারে মানুষ যে ভয় পাচ্ছেন, ‘প্রকৃত সত্য’ তুলে ধরে তা ভাঙানো। সেই সঙ্গেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্নে তৃণমূলের ‘দ্বিচারিতা’ তুলে ধরতে চায় তারা। বিজেপি নেতৃত্বের যুক্তি, মমতা ২০০৫ সালে লোকসভায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর দাবি তুলেছিলেন। এখন অনুপ্রবেশকারীদের স্বার্থে মতুয়া, নমঃশূদ্র, উদ্বাস্তু বাঙালির বিরুদ্ধাচরণ করছে তৃণমূল— এই মর্মে রাজ্য জুড়ে প্রচারেও নামছে বিজেপি। নয়া আইনের সমর্থনে রবিবারও জাদুঘর থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করেছে বিজেপি। আরএসএস-প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠন মিছিল করে গণেশ টকিজ থেকে সত্যনারায়ণ পার্ক পর্যন্ত।
তৃণমূল অবশ্য বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুয়ো রেশন কার্ড করিয়ে ভোট দেওয়ার বিরুদ্ধে বলেছিলেন। তার সঙ্গে নাগরিকত্বের কোনও সম্পর্ক ছিল না। বিজেপি ভাল করে জেনে কথা বলুক!’’
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মিছিলের কর্মসূচি জানিয়ে তাঁদের চিঠির জবাব পুলিশ দেয়নি। তবে তাঁদের মিছিল হবেই। বিজেপির আশঙ্কা, তৃণমূল আজকের মিছিলে লোক ঢুকিয়ে বিশৃঙ্খলা পাকানোর চেষ্টা করতে পারে। পার্থবাবু অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘ওরা সর্বত্র নিজেরা গোলমাল করে। তাই আগাম এ সব গেয়ে রাখছে! গোলমাল বাধানোর চেষ্টা হলে রাজ্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’ বিজেপির অভিযোগ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মিছিলের পরে শনিবার গভীর রাতে দলের তিন কর্মীকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে পুলিশ।