Mamata Banerjee

সিপিএমকে টাকা দিচ্ছে বিজেপি, অভিযোগ মমতার

মমতার বক্তব্য, ‘‘সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা জেনে রাখবেন, বিজেপি এখন সিপিএমকে টাকা দিচ্ছে। সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদর মাধ্যমে। আমাদের থেকে দূরত্ব বাড়ানোর জন্য। এটা সংখ্যালঘুরা করবেন না!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:০১
Share:

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের বিশেষ সাংগঠনিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।

সংখ্যালঘুদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘দূরত্ব’ তৈরি করার জন্য বিজেপি এখন সিপিএমকে টাকা দিচ্ছে বলে এ বার অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এই কাজের জন্য সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদেরই কাজে লাগানো হচ্ছে। আরএসএস সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কয়েক দিন আগের মন্তব্য স্মরণ করিয়ে সিপিএম অবশ্য পাল্টা দাবি করেছে, সংখ্যালঘুরা ধীরে ধীরে তৃণমূলের ‘স্বরূপ’ চিনতে পারছেন বলেই তৃণমূল নেত্রী এমন কথা বলছেন। আর বিজেপির দাবি, তাদের রোখার জন্য তৃণমূলের সরকারই এখন বামেদের জমি ছেড়ে দিচ্ছে!

Advertisement

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দলের বিশেয সাংগঠনিক সভায় মমতার বক্তব্য, ‘‘সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা জেনে রাখবেন, বিজেপি এখন সিপিএমকে টাকা দিচ্ছে। সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েদর মাধ্যমে। আমাদের থেকে দূরত্ব বাড়ানোর জন্য। এটা সংখ্যালঘুরা করবেন না!’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এমনকি, আজও আদালতে একটা মামলা করেছিল, কেন রেড রোডে ইদের দিন যাই। আমাকে ডাকে, তা-ই যাই। ইফতারেও যাই। যত দিন বেঁচে আছি, আমার কাছে কোনও ভাগাভাগি নেই। বিজেপির সমঝোতার জন্য সিপিএমের বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে!’’

দুর্নীতির প্রসঙ্গেও এ দিন ফের সিপিএমকে বিঁধেছেন মমতা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘তারা না কি কোনও অন্যায় করেনি! যাওয়ার আগে সব ফাইল উড়িয়ে, পুড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে! আমি যদি ইচ্ছা করতাম, সব ক’টাকে টেনে টেনে জেলে ভরতে পারতাম। কিন্তু বলেছিলাম, বদলা নয়। বদল চাই। আমরা কথা রেখেছি। ওরা কথা রাখেনি!’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর এমন অভিযোগের জবাবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এ দিন আলিমুদ্দিনে বলেছেন, ‘‘তৃণমূল দলটাই তৈরি হয়েছিল আরএসএসের রাজনৈতিক মদতে এবং আর্থিক সহায়তায়! আগেও বহু বার আমরা বলেছি। এই সে দিনও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আরএসএস এত খারাপ বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। আরএসএস খোলাখুলি ত্রিশূল, তলোয়ার নিয়ে রাস্তায় নামে। তৃণমূল সেগুলো আস্তিনের তলায় রাখে। যারা খোলাখুলি অস্ত্র দেখায়, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। যাঁরা আঁচলের তলায় রাখেন, তাঁদের ধরতে সময় লাগে!’’ সেলিমের দাবি, ‘‘তৃণমূলের আসল চেহারা সংখ্যালঘুরা এখন ধীরে ধীরে বুঝতে পারছেন। শত্রু-মিত্র চিনতে পারছেন। তাই উনি এ সব বলছেন।’’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পাল্টা তত্ত্ব দিয়েছেন, তৃণমূলই এখন বামেদের জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে রুখতে। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির একটি হোটেলে দলের জেলা নেতা-পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বার্তা দিয়েছেন, বিজেপিকে ঠেকাতে বামেদের ‘রাজনীতির পরিসর’ ছেড়ে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। সেই পরিস্থিতিতে দলের নেতা-কর্মীদের আরও সক্রিয় হতে বলছেন সুকান্ত, যাতে বামেরা নতুন করে শক্তি বৃদ্ধি করতে না পারে।

ফাইল নষ্ট করার অভিযোগ প্রসঙ্গে সেলিম এ দিন ফের বলেছেন, ‘‘এত দিন ফাইল দেখিয়ে বলতেন, সব আমার হাতে আছে। ধরব নাকি? চ্যালেঞ্জ করতেই এখন বলছেন, ফাইল, আলমারি নেই! তার জবাব ওঁকেই দিতে হবে। এত কমিশন, তদন্তে কী হল?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement