Sukanta Majumdar

পাঁচ ঘণ্টা পর জিটি রোড থেকে অবস্থান তুললেন সুকান্ত, মঙ্গলবার থেকে ফের ধর্নার হুঁশিয়ারি

সোমবার সকালে রিষড়ার উদ্দেশে রওনা হন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। পথে বিশালাক্ষীতলায় পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রিষড়া শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৩ ২০:২৩
Share:

সুকান্ত জানালেন, মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ফের ধর্নায় বসবেন তিনি। প্রয়োজনে অনির্দিষ্ট কাল চলবে সেই ধর্না। — নিজস্ব চিত্র।

রিষড়ায় যাওয়ার সময় পথে আটকেছিল পুলিশ। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে রাস্তাতেই বসে পড়ে ধর্না শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর সেই অবস্থান তুলে নিলেন তিনি। একই সঙ্গে জানালেন, মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ফের ধর্নায় বসবেন তিনি। প্রয়োজনে অনির্দিষ্ট কাল চলবে সেই ধর্না। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ সুকান্তকে ফোন করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির খোঁজ নেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।

Advertisement

রবিবার রিষড়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের মিছিলে অশান্তি ছড়ায়। জারি হয় ১৪৪ ধারা। সোমবার সকালে রিষড়ার উদ্দেশে রওনা হন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। পথে বিশালাক্ষীতলায় পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। এর পরই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় সুকান্তদের। বিজেপির রাজ্য সভাপতি পুলিশকে বলেন, ‘‘যদি মনে হয় ১৪৪ ধারা ভাঙছি, তা হলে পদক্ষেপ করুন। আমরা ভাঙিনি। দু’জন জনপ্রতিনিধি যেতে চান, তাদের আটকাচ্ছেন। পুলিশ হয়ে আইন ভাঙছেন। জনপ্রতিনিধির অধিকার ভাঙছেন।’’

দীর্ঘ বচসার পর জিটি রোডের উপর অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন সুকান্তরা। তিনি জানান, যেখানে ১৪৪ ধারা যেখানে নেই, সেখানেই যেতে চেয়েছেন। অথচ আটকানো হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কিছু জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা— এই অভিযোগও করেছেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, যেখানে ১৪৪ নেই, সেখানে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে দেখা করা। অনেকেই আহত হয়েছেন। আমাদের ১৪৪ ধারার অজুহাত দিয়ে আটকানো হয়েছে। অথচ, যেখানে ১৪৪ ধারা জারি, সেখানে তৃণমূল ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’

Advertisement

সুকান্তদের অবস্থান বিক্ষোভের কারণে তীব্র যানজট তৈরি হয় জিটি রোডে। যদিও রাজ্য বিজেপির সভাপতি যানজটের জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাস্তা ছেড়ে রেখেছিলাম, যাতে সাধারণ মানুষের অসুবিধা না হয়। পুলিশই রাস্তা আটকে জনসাধারণের অসুবিধা করছে। পুলিশ আর তৃণমূলের তরফে প্রচার করা হচ্ছে, আমরা রাস্তা আটকে রাখছি। আমরা শেষ এক ঘণ্টা রাস্তায় বসতে বাধ্য হয়েছি। আমরা এই অবস্থান সাধারণ মানুষের কথা ভেবে তুলে নিচ্ছি।’’ এর পরেই তিনি জানান, মঙ্গলবার থেকে ফের ধর্নায় বসবেন। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী কাল, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে অবস্থান শুরু করব। প্রয়োজনে অনির্দিষ্ট কাল হবে, যদি পুলিশ গ্রেফতার করা বন্ধ না করে। যাঁরা মার খেল, তাদের ধরছে পুলিশ। পুলিশ রিপোর্ট দিচ্ছে সব জায়গায় শান্তি। কোথাও শান্তি নেই। প্রতিবাদে বসব ধর্নায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement