লকেট চট্টোপাধ্যায়
করোনায় আক্রান্ত হলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। রিপোর্ট যে পজিটিভ, সে কথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন হুগলির সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা লকেট। আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তিনি। তবে জ্বর থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শ নিচ্ছেন। প্রয়োজনে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে তাঁকে।
এ দিন বেলা ৩টে নাগাদ লকেট চট্টোপাধ্যায় টুইট করে জানান যে, তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই যে তিনি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন, তাও জানিয়েছেন তিনি। পরে ফোনে তিনি আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন যে, গত ৫-৬ দিন ধরেই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। মৃদু জ্বর ছিল। তাপমাত্রা থাকছিল ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের আশেপাশে।
জ্বর করোনার অন্যতম উপসর্গ। ফলে জ্বর আসতেই তিনি নিজেকে গৃহবন্দি করে নিয়েছিলেন বলে সাংসদ এ দিন জানান। চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার পরে তাঁর নমুনাও পরীক্ষা করানো হয়। আজ জানা গিয়েছে লকেট পজিটিভ। সাংসদের কথায়, ‘‘খুব বেশি অসুস্থ বোধ করছি না। শুধু অল্প জ্বরটাই রয়েছে। তাই এখনও হাসপাতালে যাইনি। বাড়িতেই থাকব, নাকি হাসপাতালে যেতে হবে, সেটা চিকিৎসকরাই স্থির করবেন।’’
আরও পড়ুন: ইতিহাস সাক্ষী, মুছে যায় বিস্তারবাদীরা: লাদাখে দাঁড়িয়ে চিনকে বার্তা মোদীর
জনপ্রতিনিধি তথা রাজ্য বিজেপির সামনের সারির নেত্রী হয়ে ওঠা লকেট চট্টোপাধ্যায়কে লকডাউনের মধ্যেও নানা এলাকায় ছোটাছুটি করতে হয়েছে। কখনও আমপান (প্রকৃত উচ্চারণে উমপুন) দুর্গতদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করতে, কখনও দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে, কখনও আবার রাজনৈতিক হিংসায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে। বিজেপির দলীয় বৈঠক বা ভার্চুয়াল র্যালিগুলোয় সামাজিক দূরত্ব বহাল রাখার বিষয়টা খেয়াল রাখা হচ্ছিল। কিন্তু ত্রাণ বা রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়েছে যে সব এলাকায়, সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয় না জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে। অতএব সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে তৈরি করোনা টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ বাজারে আসতে পারে অগস্টেই
দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে আপাতত সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবেই থাকছেন হুগলির সাংসদ। অসুস্থতা এখনও পর্যন্ত খুব বাড়েনি বলে সাংসদ নিজে জানাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁর চিকিৎসকরা খুব বেশি ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বলে খবর। জ্বর মৃদু হলেও ৫-৬ দিন ধরে যে হেতু একটানা জ্বরটা রয়েছে, সে হেতু সাংসদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।