সাক্ষাৎ: মোহনকে দেখতে জয়ন্ত। (বাঁ দিকে)। নিজস্ব চিত্র
দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। তাঁকে দেখতে শনিবার রাতে ওই হাসপাতালে গেলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়।
সংসদের অধিবেশন থাকায় জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় দিল্লিতে রয়েছেন। ওখানেই তিনি জানতে পারেন মোহন বসু অসুস্থ, তাঁকে দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এরপর সাংসদ জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের এক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোহন বসু কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান। চেয়ারম্যান পরিষদের ওই সদস্য সাংসদকে মোহন বসুর সঙ্গে থাকা দলীয় এক কর্মীর ফোন নম্বর দেন। ওই ফোনে যোগাযোগ করে গুরুগ্রামের ওই বেসরকারি হাসপাতালে যান সাংসদ জয়ন্ত রায়।
৪৫ মিনিটের কিছু বেশি সময় ধরে মোহন বসুর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে সাংসদ জয়ন্ত রায়। মোহনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন সাংসদ।
জয়ন্ত রায় বলেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক সৌজন্য। আলাদা দল হলেও আমরা দু’জনেই জনপ্রতিনিধি। মোহন বসুও জলপাইগুড়ির মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন, আমিও তাই করছি। কে কোন দলের তা বড় কথা নয়।’’ মোহন বসু জানান, সাংসদের রাজনৈতিক সৌজন্যে তিনি খুশি। এই সৌজন্যই জলপাইগুড়ির চিরাচরিত প্রথা বলে দাবি করেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির উন্নয়নের কাজে সাংসদ চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করার বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন। উন্নয়নের কাজ নিয়ে কোনও রাজনীতি চান না বলে সাংসদকে জানিয়েছেন মোহন বসুও।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘রাজনীতিই সব নয়। জলপাইগুড়িতে আমরা সব দলের নেতা-কর্মীরা একসঙ্গে বসে চায়ের দোকানে আড্ডা মারি। এটাই রীতি জলপাইগুড়ির। একে অপরের বিপদে পাশে দাঁড়াই আমরা সবাই। আমাদের সাংসদও রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখিয়েছেন।’’