নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কালী-মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়েই বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। এ বার ‘জ্যান্ত’ কালী নিয়েই বাঁকুড়া সদর থানায় হাজির গেরুয়া শিবিরের জেলা সাংগঠনিক নেতৃত্ব। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য মহুয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তার আগে শহরের একটি কালী মন্দিরে যজ্ঞেরও আয়োজন করা হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। বিজেপির এই কর্মসূচিকে ‘নাটক’ আখ্যা দিয়ে ‘যেমন খুশি সাজো’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বাঁকুড়ার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০টি থানাতেও মহুয়া-মন্তব্যের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভারতীয় পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের তথ্যচিত্রের একটি পোস্টারে দেবী কালী রূপে এক মহিলাকে ধূমপান করতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে সোমবার কলকাতার এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল জানিয়ে দেয়, দল মহুয়ার বক্তব্য সমর্থন করে না। অন্য দিকে, হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ তুলে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। মহুয়ার বিরুদ্ধে রাজ্যের একধিক থানায় ইতিমধ্যেই বহু অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বাঁকুড়ায় বিজেপির জেলা নেতৃত্বও সেই কর্মসূচি নিয়েছেন।
সকালে বাঁকুড়া শহরের উপকন্ঠে মীনাপুর শ্মশান কালী মন্দিরে হাজির হন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে কালী প্রতিমার সামনে যজ্ঞ হয়। এর পর এক শিশুকে কালী সাজিয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়া সদর থানায় যান বিজেপির কর্মীরা। সুনীল বলেন, “মহুয়া মৈত্র মা কালী সম্পর্কে যা মন্তব্য করেছেন, তার প্রতিবাদে আজ আমরা স্বয়ং মা কালীর হোম যজ্ঞ করে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই থানায় এসেছি। এ রাজ্যে হিন্দু ধর্মের উপর আঘাত হয়েছে। আমরা বার বার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। তাই আজ মা স্বয়ং শক্তি জোগাতে আমাদের সঙ্গে এসেছেন।’’
বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ভাবে একটি শিশুকে মা কালী সাজিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শামিল করা অনুচিত। বিজেপি নাটক করার জন্য যেমন খুশি সাজো কর্মসূচি পালন করেছে। মানুষ সব বুঝতে পারছে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতিকে এ রাজ্যের মানুষ পছন্দ করে না।’’