মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ফাইল ছবি
বুথ স্তরে পর্যাপ্ত কর্মী নেই বলে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সভায় কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। শনিবার দলের হেস্টিংস দফতরে প্রাক্ পুজো সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জাতীয় কার্যসমিতির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ দলের উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলির নেতা-কর্মীরা। সূত্রের খবর, নেতৃত্ব জানান, দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে যে সংখ্যায় কর্মী বাহিনী প্রয়োজন, এখনও সেই সংখ্যায় কর্মী নেই। এর আগে জেলা স্তরের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। সূত্রের খবর, তিনি প্রবাস কর্মসূচিতে এসে জানিয়েছিলেন, জেলার নেতারা শক্তিকেন্দ্র, বুথে যাচ্ছেন না। এই ভাবে কোনও দলকেই শক্তিশালী করা সম্ভব নয়। যদিও এ দিন সুকান্ত দাবি করেন, এই প্রক্রিয়া আমাদের দলে চলছে। সবে শক্তিকেন্দ্র তৈরি হয়েছে। বুথ কমিটি এখনও তৈরি হয়নি। ধারাবাহিক ভাবে সেই কাজ দেখাশোনার জন্য নেতারা যাবেন।
গেরুয়া শিবির সূত্রের দাবি, এ দিন হিসেব দিয়ে অমিতাভ দেখিয়ে দিয়েছেন ঠিক কোন জায়গায় দল পিছিয়ে আছে। সূত্রের দাবি, অমিতাভ বৈঠকে দাবি করেছেন, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দুই ২৪ পরগনার ১০৯টি বিধানসভা আসনে বিজেপির ফল সবচেয়ে খারাপ। তার অন্যতম কারণ, নেতারা একে অন্যের মুখ দেখেন না। জেলা সভাপতিকে যেমন মণ্ডল স্তরে, বুথ স্তরে কর্মীদের মানতে হবে। তেমনি জেলা সভাপতিরও কাজ সবাইকে নিয়ে চলা। তিনি হিসেব করে বলেন, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় ভাল ফল করতে হলে অন্তত ৩০ হাজার কর্মীর প্রয়োজন। সেই সংখ্যক কর্মী আদৌ দলে আছে কি না সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও সুকান্ত বলেন, আমাদের কর্মী নেই, এমন নয়। কর্মীদের খুঁজে বের করতে হবে। তাঁদের দায়িত্ব দিয়ে সক্রিয় করে তুলতে হবে। দিল্লির নেতৃত্ব যতই নবান্ন অভিযানকে সফল বলে দাবি করুন না কেন, এ দিনের বৈঠকে যে প্রশ্নগুলি উঠল তা থেকে ফের এই বিতর্ক তৈরি হল যে দিল্লির কাছে রাজ্যের ঠিক রিপোর্ট আদৌ পৌঁছয় কি না।