মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি
রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে প্রতিশ্রুতি মতো সব পরিবারের মহিলারা সুবিধা পাবেন না। এমনটাই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘ভোটের আগে তৃণমূলের ইস্তাহারে যা বলা হয়েছিল তার সঙ্গে এই প্রকল্পের কোনও মিল নেই।’’ তাঁর দাবি, রাজ্যের ১ কোটি ৬০ লাখ পরিবারের মহিলাদের সুযোগ দেওয়ার কথা ছিল। তাতে ৫ কোটি গৃহবধূর এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে রাজ্যে ১ কোটি ৫৮ লাখ মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় আসবেন। এই দাবি জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিজেপি চায়, রাজ্যের সকল মহিলাকেই এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হোক।’’
বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ অগস্ট থেকে রাজ্যে শুরু হবে এ বছরের ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। মনে করা হচ্ছে, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে এ বার সাধারণের মধ্যে উন্মাদনা থাকবে ওই শিবির চলার সময়ে। রাজ্যের ঘোষণা মতো, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে সাধারণ গৃহবধূরা মাসে ৫০০ এবং তফসিলি জাতি এবং জনজাতিভুক্ত বধূরা ১ হাজার টাকা পাবেন। ২৫-৬০ বছর বয়সের মহিলারা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে স্থায়ী সরকারি চাকরিরত, পেনশনভোগী, স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, পঞ্চায়েত, পুরসভার কর্মী এবং যে সব শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা স্থায়ী বেতন বা পেনশন পান, তাঁদের স্ত্রীরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।
এখানেই অভিযোগ শুভেন্দুর। তাঁর দাবি, প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া থেকে নানা ভাবে বাদ যাচ্ছেন রাজ্যের বহু মহিলা। খরচ কমাতেই রাজ্য সরকার সেটা করেছে বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের আগের ঘোষণা যা হয়েছিল তার থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে সরকার।’’ রাজ্য সরকারের আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই প্রকল্প বেশি দিন চলবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন শুভেন্দু।