সৌরভকে মমতার সমর্থনের প্রেক্ষিতে মাঠ ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি।
সৌরভ নিয়ে পাল্টা চাপের রাজনীতি শুরু করল বিজেপি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সরে যাওয়া নিয়ে বাংলার ‘দিদি’ সরব হতেই পাল্টা গুগলি দিল পদ্ম শিবির। তাদের দাবি, শাহরুখ খানকে সরিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে ঘোষণা করুন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদিক বৈঠকে এই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উত্তরবঙ্গ রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌরভকে বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে সরানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, ‘‘আমি সারা পৃথিবীর ক্রিকেটপ্রেমীদের তরফ থেকে বলব, সৌরভ আমাদের গৌরব। সৌরভ যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে মাঠেও খেলেছে, প্রশাসনও চালিয়েছে। ও বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সৌরভের জন্য ছিল, অমিত শাহের ছেলের জন্যও ছিল। সৌরভ নেই, কিন্তু অমিতবাবুর ছেলে থেকে গেলেন। সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কোন উদ্দেশ্যে?’’
জবাবে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আগে শাহরুখ খানকে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর পদ থেকে সরিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলিকে ওই পদে বসান। আগে সৌরভকে সম্মান দিন, এ সব নিয়ে রাজনীতি করবেন না।’’ শুভেন্দুর কথায় ঘুরে ফিরে এসেছে, সৌরভের প্রতি সমর্থন নিয়ে যখন এতই তৎপর মুখ্যমন্ত্রী, তা হলে তাঁর পদক্ষেপে এর প্রতিফলন নেই কেন?
শুধু শুভেন্দু নয়, এর আগে এই একই দাবি জানিয়ে টুইট করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনিও শাহরুখকে সরিয়ে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর পদে সৌরভকে নিয়োগের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। আর সৌরভ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে খোঁচা দিতেই পাল্টা চাপের কৌশল নিল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া জগতকে শেষ করে দিয়েছেন। স্বপ্না বর্মণকে কেন বাংলা ছেড়ে চলে যেতে হল? তিনি জাতীয় স্তরে মধ্যপ্রদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে পদক জিতছেন। এর জবাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আগে সৌরভকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করে শাহরুখকে বিদায় দিন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর আমরা তার কথা বা যাবতীয় দাবির বিষয়ে শুনব।’’ সৌরভের প্রতি বিরোধী দলনেতার পরামর্শ, ‘‘সৌরভের উচিত কোনও রাজনৈতিক দলকেই কথা বলার সুযোগ না দেওয়া।’’