—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শিক্ষা এবং খাদ্য সরবরাহে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। এ বার তার সঙ্গে জুড়ল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে অনিয়মের মামলাও। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি প্রশ্ন তুলল কলকাতার সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে। সোমবার এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা করেছেন বাংলার বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন তিনি ওই মামলা করেছেন তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।
সুকান্তের অভিযোগ, কলকাতার অন্যতম সরকারি হাসপাতাল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতির আঁতুর ঘর হয়ে উঠেছে। যুক্তি হিসাবে সুকান্ত বলেছেন, প্রথমত, এই কলেজের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ যাবতীয় দুর্নীতির পরে এমনকি, বারবার বদলি হওয়ার পরেও তাঁর ছেড়ে যাওয়া পদে ফিরে আসছেন।
দ্বিতীয়ত, এখানে মৃতদেহের বেআইনি ব্যবহার হয়। পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তাতে কাটাছেঁড়া করা হয় বলেও অভিযোগ সুকান্তের।
তৃতীয়ত, এই কলেজে ‘বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট’ বা জৈব বর্জ্য নিয়েও দুর্নীতি হয়। খোলা বাজারে এই ধরনের বর্জ্য বিক্রি করা হয় এবং একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী সেগুলি পুনর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ সুকান্তের। তাঁর দাবি এর ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে।
এছাড়াও সুকান্তের অভিযোগ, ছাত্রদের জন্য আসা অ্যাকাডেমিক ফান্ড অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়, কাটমানি ছাড়া টেন্ডার পাস হয় না। স্কিল ল্যাব যেখানে অন্য মেডিক্যাল কলেজ অল্প খরচে বানাতে পারে, এখানে তা বানাতে দ্বিগুণ খরচ দেখানো হয়। কম দামি যন্ত্রপাতি বেশি দামে কেনা হয় বলেও অভিযোগ বিজেপির বাংলার সভাপতির। এমনকি, গবেষণাগারের বিভিন্ন কাজের বরাতও একটি বিশেষ সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া হয়। এ সবেরই তদন্তের দাবি করেছেন সুকান্ত।
এ ছাড়াও আরজি করের বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন সুকান্ত। তাঁর মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। আগামী সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।