বুধবার সংসদ ভবনে হয় বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
৬ দিনে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ৪ বার কথা বললেন অমিত শাহ। দু’বারের কথাবার্তায় আরও অনেকে উপস্থিত থাকলেও মঙ্গল ও বুধবার পর পর ২দিনে আলাদা আলাদা করে কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে নিজের দফতরে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বৈঠকের পরে বুধবারই তিনি ডেকে নেন দলের রাজ্য সভাপতিকে। বিজেপি সূত্রে খবর, মিনিট কুড়ি সুকান্তের সঙ্গে একান্তে কথা হয় শাহের। কী বিষয়ে কথা? সুকান্ত জানিয়েছেন, ‘‘গোটাটাই সাংগঠনিক বিষয়। দলের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় নিয়ে ওঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।’’ একইসঙ্গে সুকান্ত জানান, আগেই এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শাহের ব্যস্ততার জন্য তা পিছিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনেই শাহ-সুকান্ত বৈঠকের কথা ছিল। পরে যা পিছিয়ে যায়। গত শুক্রবারই কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এসেই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরের দিন শনিবার নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেন। এর পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন। দিল্লি ফেরার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে ফের রাজ্য বিজেপির নেতাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। সেখানেও সুকান্ত, শুভেন্দু ছিলেন। শনিবার শাহ শহর ছাড়ার পরেই শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, ‘‘তিনি নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। সোমবার রাতে দলের সাংসদদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার পরে আমায় দিল্লিতে থেকে যেতে বলেছেন। সঙ্গে বলেছেন, মঙ্গলবার তোমাকে ৩০ মিনিটি সময় দিচ্ছি, সংসদে আমার দফতরে এসে আমার সঙ্গে দেখা করবে। অনেকগুলি বিষয় রয়েছে যা নিয়ে তোমার এবং রাজ্য সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করা দরকার।’’ জল্পনা তৈরি হয়েছিল সুকান্ত ও শুভেন্দু একসঙ্গেই যাবেন শাহের কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সোমবার সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার নেতৃত্বে হওয়া সংসদীয় বৈঠকে দু’জনেই হাজির থাকলেও মঙ্গলবার শাহের কাছে একাই যান শুভেন্দু। বুধে গেলেন সুকান্ত।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার শাহ কলকাতায় আসার আগে আগেই রাজ্যে এসেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। তিনি শুক্রবারই রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন। তার ঠিক আগের দিন বৃহস্পতিবার কলকাতায় আরএসএসের রাজ্য দফতরে ডাক পড়েছিল সুকান্ত এবং দিলীপ ঘোষের। বৈঠক করেন সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় নেতা অরুণ কুমার। সেই রাতেও সন্তোষ রাজ্য নেতাদের নিয়ে কলকাতায় একটি বৈঠক করেন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলার দিকে যে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর বাড়ছে তার ইঙ্গিত মিলছে।