ফাইল চিত্র।
বিজেপি-র রাজ্য কমিটি থেকে ছিটকে যাওয়ার পর দলের আদি নেতা হিসেবে পরিচিত সায়ন্তন বসু বাদ পড়লেন রাজ্য কর্ম সমিতি থেকেও। সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জাতীয় কর্ম সমিতির ১০৮ জন সদস্যের তালিকা ঘোষণা করেছেন। সেই তালিকায় নাম নেই সায়ন্তনের। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন দীর্ঘ সময় যাবৎ রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকের পদে বহাল ছিলেন তিনি। সুকান্তের নতুন কমিটিতে সায়ন্তনের পাশাপাশি আরও দুই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংহ এবং রথীন্দ্র বসু বাদ পড়লেও তাঁদের অন্য দায়িত্বে বহাল করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও দায়িত্বেই রাখা হয়নি সায়ন্তনকে। তবে এর পরেও সায়ন্তনকে দেখা গিয়েছিল বিধাননগরে বিজেপি-র হয়ে প্রচারে নামতে। মনে করা হয়েছিল কমিটিতে না থাকলেও কর্ম সমিতিতে জায়গা পাবেন সায়ন্তন। রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাওয়ার ধনধনিয়া-সহ অনেককেই রাজ্য কর্ম সমিতিতে জায়গা দেওয়া হলেও ব্রাত্যই রয়ে গেলেন সায়ন্তন।
প্রসঙ্গত, যে দিন সায়ন্তনের নাম রাজ্য কমিটি থেকে বাদ যায় সে দিনই তাঁর বাড়িতে তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে বৈঠক করেন। তখন জল্পনা তৈরি হয় যে, তা হলে কি পদ্ম শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে ভিড়বেন সায়ন্তন? এর পরে বিজেপি-র একাংশ দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করলে, সেই দলেও নাম ছিল সায়ন্তনের।
সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে হওয়া কলকাতার বৈঠক এবং বনগাঁর পিকনিকেও সায়ন্তনকে দেখা গিয়েছিল। সদ্য পদ্মশিবির বিমুখ হয়ে শাসকদলে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গেও একাধিক বার বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তা সত্ত্বেও সায়ন্তন স্পষ্ট করে দেন, দল ছাড়ছেন না তিনি। তবে এখন রাজ্য কর্ম সমিতিতেও সায়ন্তনের নাম না থাকার কারণে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণে নতুন আভাস মিলছে। তা হলে কি সায়ন্তনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছে রাজ্য বিজেপি?