বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দিলীপ-শুভেন্দু। ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় আচমকাই এলেন দিলীপ ঘোষ। সোমবার দুপুরে বিধানসভায় বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে আসেন মেদিনীপুরের সাংসদ। দিলীপ বিধানসভায় আসার কিছু ক্ষণ পরেই বিধানসভায় আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে বিজেপি পরিষদীয় দলের ঘরে সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন দিলীপ-শুভেন্দু। বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের উপর আলোচনা থাকায় বৈঠক হয় সংক্ষিপ্ত আকারে। বৈঠক চলার আগে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাঁওয়ের জন্মদিন পালিত হয় দুই নেতার উপস্থিতিতে। বিজেপি বিধায়কেরা বিধানসভা অধিবেশনে চলা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে জানান। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে দলের বিধায়করা কি ধরনের বক্তৃতা করবেন, তাও জানানো হয় দিলীপকে।
ঘটনাচক্রে, ২০১৭ সালেও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেই সময় আবার খড়গপুর সদরের বিধায়ক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য ছিলেন দিলীপ। নিজের সেই সময়কার বক্তৃতার কথাও বিধায়কদের কাছে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আচমকা নয়, প্রতিবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন দিলীপ বিধানসভায় এসে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই পর্যায়েই এদিন বিধানসভা এসেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তবে নিজের বিধানসভায় আগমনকে বিধায়কদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন দিলীপ। সূত্রের খবর, বৈঠকে সাগরদিঘি উপনির্বাচন নিয়েও পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে দিলীপ বিধায়কদের মতামত জানাতে চান।