নাগরিক পঞ্জি করে এতদিন বিজেপি সাম্প্রদায়িক বিভাজনের চেষ্টা করছিল। এখন গেরুয়া বাহিনী নাগরিক পঞ্জির মাধ্যমে বাঙালির মধ্যেই বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে তো হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছিল। এখন তো এনআরসি করে বাঙালির মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে।’’
অসমের নাগরিক পঞ্জিতে মুসলিমের পাশাপাশি ২২ লক্ষ হিন্দু ভোটার বাদ পড়ছেন বলে মমতা বারবারই উল্লেখ করেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই নাগরিক পঞ্জির তৈরি হয়েছে বলে এ দিনও মমতা অভিযোগ করেন। তাঁর মতে, ‘‘ছিটমহলের মানুষরা নাগরিকত্ব পেলেন কী করে? ওদের জন্য তো সব করেছি। সব আছে ওদের। তার পরেও ওদের বিদেশি করে দেওয়ার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চলছে।’’
স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও কেন এই নাগরিক পঞ্জির প্রয়োজন পড়ছে, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা তো এ দেশেরই নাগরিক। তা হলে নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কী রয়েছে? ইন্দিরা গাঁধী আর মুজিবর রহমানের চুক্তি অনুযায়ী যে উদ্বাস্তুরা এ দেশে ১৯৭১ সালের মার্চে এসেছিলেন বা যাঁরা পণ্ডিত নেহরু এবং লিয়াকৎ আলির চুক্তি অনুযায়ী ভারতে এসেছিলেন, তারা ভারতের নাগরিক। পাকিস্তান থেকে যাঁরা পঞ্জাব এবং গুজরাতে গিয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই নাগরিক।’’
জবাবে বিজেপি’র রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এনআরসি হয়েছে, এনআরসি হবে। নাগরিকত্ব বিল আমরা এনেছি। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সে কাজ আমরা করবই। তবে এনআরসি বিজেপি করেনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই অসমে বিষয়টি কার্যকর হয়েছে।’’