ছবি পিটিআই।
ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলি অংশগ্রহণ করে। তবে রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে সরাসরি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করার রীতি এ রাজ্য়ে ছিল না। এ বার বিজেপি সেটাও আমদানি করল। এ বছর বিধাননগরে একটি দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা রাজ্য বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেই দুর্গাপুজো হবে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (ইজেডসিসি)।
আগামী ২২ অক্টোবর শারদোৎসব উপলক্ষে বঙ্গবাসীর উদ্দেশে ভার্চুয়াল পরিসরে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি ওই দুর্গাপুজোও উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ওই দিন রাজ্য়বাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জিও জানিয়েছিল বিজেপিই।
বিভিন্ন দলের নেতাদের উদ্যোগে দুর্গাপুজো হয়। কিন্তু কোনও দল সরাসরি এতে জড়ায় না। তা হলে বিজেপির রাজনৈতিক দল হিসাবে সরাসরি দুর্গাপুজো করার দরকার হল কেন? রাজ্য় বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের জবাব, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে বিজেপি নেতারা কোনও পুজোয় যুক্ত হলেই নানা ভাবে বাধা দেওয়া হয়। তাই আলাদা করে পুজো করা ছাড়া বিজেপি আর কী করবে?’’ কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ দেশে কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধর্মচর্চা করা যায় না।
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেন চালুর জন্য চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে
আরও পড়ুন: ভুয়ো সংস্থার আঁতুড়ঘর কলকাতায়
তা হলে দুর্গাপুজোর জন্য বিজেপি নেতৃত্ব ইজেডসিসি-কে বেছে নিলেন কেন? জয়প্রকাশবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘পার্ক, রাস্তা, ফুটপাথ— যে সব জায়গায় সাধারণত দুর্গাপুজো হয়ে থাকে, সেগুলো সবই তো সরকারের। আমরা ইজেডসিসি-কে ভাড়া দেব।’’
আরও পড়ুন: মণীশ খুনে তদন্ত রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
বিজেপি সূত্রের খবর, ওই দুর্গোৎসবে ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত রোজই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এ বার জলসা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোভিড-সুরক্ষার জন্য রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা কি এমন জলসার আসর বসিয়ে রক্ষা করা সম্ভব? বিজেপির তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি। পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, ভোটের আগে হিন্দুত্ববাদের জিগির তুলতেই শুধু উৎসবে আটকে না থেকে সরাসরি পুজোর আসনে বসে পড়ল বিজেপি।