—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যে বিজেপি এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য নিলেও, এখনও পর্যন্ত তা হয়েছে মাত্র ২৬ লক্ষ ৬২ হাজার! সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার বিধাননগরে দলের একটি কর্মশালায় এই কর্মসূচিতে রাজ্য বিজেপি অকৃতকার্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে। এ দিকে, এখনও পর্যন্ত পাওয়া ‘মার্কশিটে’র ভিত্তিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া যথাক্রমে নদিয়া দক্ষিণ (রানাঘাট লোকসভা), দক্ষিণ দিনাজপুর এবং নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলাকে এ দিন সংবর্ধনা জানানো হয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত নদিয়া দক্ষিণে সদস্য হয়েছেন এক লক্ষ ৫০ হাজার ৯৪৬ জন। রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর এবং নদিয়া উত্তর উভয়েই এক লক্ষ ৩০ হাজার সদস্যের গণ্ডি পেরিয়েছে। সদস্য সংগ্রহে দলের জনপ্রতিনিধিদের উপরেই মূলত দায়িত্ব ছিল। নদিয়া দক্ষিণে বিজেপির চার বিধায়ক ও এক সাংসদ তথা দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার রয়েছেন। সুকান্তের জেলায় তিনি একমাত্র সাংসদ এবং বিজেপির তিন জন বিধায়ক রয়েছেন। কিন্তু নদিয়া উত্তরে বিজেপির কোনও বিধায়ক, সাংসদ নেই। জগন্নাথের বক্তব্য, “রাজ্যে একক শক্তিতে পঞ্চায়েত সমিতি কে গঠন করেছিল? সিপিএম-ও কোনও দিন শান্তিপুর শহরে জিততে পারেনি। ৩৪ হাজার ভোটে জিতে বিধায়ক পদ ছেড়েছিলাম। দু’বার সাংসদ হয়েছি। এমন রেকর্ড আর কার আছে? সংগঠন, বিধায়ক সবার জন্যই এই সাফল্য।”
যদিও সামগ্রিক ভাবে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তোপের মুখে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল কর্মসূচিতে রাজ্য বিজেপিকে ‘অকৃতকার্য’ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন, ১০০-র পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৩৪। সেখানে রাজ্য বিজেপির সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ও বর্তমান সংখ্যার শতাংশ করলে দাঁড়ায় ২৬.৬২%! দলের অন্দরে মঙ্গলের বার্তা, ৩১ ডিসেম্বর কর্মসূচি শেষের আগে অন্তত পাশ নম্বর পেতে হবে।
তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে পথে নেমে সদস্য সংগ্রহ করাটা চ্যালেঞ্জের। রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোও বলেছেন, “সদস্য সংগ্রহ করার মতো বুকের পাটা একমাত্র বিজেপিরই আছে। তৃণমূল রাস্তায় নেমে সদস্য সংগ্রহ করলে পাঁচ লক্ষ সদস্য হবে না। উনি (মঙ্গল) অভিভাবক, শাসন করতেই পারেন। অমরা লক্ষ্যে পৌঁছবই।”