বুধবার নড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। ফাইল চিত্র
হাঁসখালিতে ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে ওই ঘটনা সামনে আসার পরেই সত্যানুসন্ধান কমিটি গড়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। সেই কমিটির প্রতিনিধিরা বুধবার নয়াদিল্লিতে নড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। দলের পাঁচ মহিলা জনপ্রতিনিধি এবং এক নেত্রীকে নিয়ে তৈরি ওই সত্যানুসন্ধান কমিটিকে এ বার নতুন দায়িত্ব দিলেন নড্ডা। পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষা কতটা বিঘ্নিত তা জানিয়ে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, হাঁসখালি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন নড্ডা।
বগটুই-কাণ্ডের পরেও সত্যানুসন্ধান কমিটি গড়েছিলেন নড্ডা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছিলেন সেই কমিটিতে। নড্ডার পাশাপাশি সুকান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছেও রিপোর্ট জমা দেন। এর পরে হাঁসখালির ঘটনা সামনে আসতেই উত্তরপ্রদেশের সাংসদ রেখা বর্মা, যোগী রাজ্যের মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য, তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন, মহারাষ্ট্র বিজেপির নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং রাজ্যের ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। গত শুক্রবার সেই কমিটি হাঁসখালি পরিদর্শন করে। বুধবার জমা পড়ল রিপোর্ট।
জানা গিয়েছে, হাঁসখালির ঘটনার বিবরণ দিয়ে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও নড্ডার কাছে সুপারিশ করেছে কমিটি। একই সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা অসহায় অবস্থায় নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। হাঁসখালির নির্যাতিতাকে শ্মশানে দাহ করার ব্যাপারেও অনিয়ম চলছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়। কমিটির প্রতিনিধি শ্রীরূপা বলেন, ‘‘আমরা নড্ডাজিকে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছি। উনি আমাদের রাজ্যের বিস্তারিত রিপোর্ট বানাতে বলেছেন। আমার খুব তাড়াতাড়ি সেই রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেব।’’ তবে নড্ডাকে দেওয়া রিপোর্টে কী কী দাবি করা হয়েছে বা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি শ্রীরূপা।