Petrol price

petrol diesel price: আন্দোলনের ‘আ’ জানে না বিজেপি: মুখ্যমন্ত্রী

কেন্দ্র পেট্রল এবং ডিজেলের শুল্কে ছাড় দেওয়ার পরে রাজ্য সরকারও পেট্রোপণ্যের উপরে তাদের প্রাপ্য ভ্যাটে ছাড় দিক, এই দাবিতে সোমবার আইন অমান্য করে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৩২
Share:

পেট্রল এবং ডিজেলের শুল্কে কেন্দ্রের ছাড় দেওয়ার পিছনেও রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলে ইঙ্গিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।

বিজেপির নাম না করে তারা ‘আন্দোলনের আ জানে না’ বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রল, ডিজেলের উপর রাজ্যের প্রাপ্য ভ্যাটে ছাড়ের যে দাবি বিজেপি তুলেছে, সে প্রসঙ্গে তাঁর আরও মন্তব্য, “ওঁরা দাম বাড়াবেন আর রাজ্যকে সব বিক্রি করে ছাড় দিতে হবে?”

Advertisement

কেন্দ্র পেট্রল এবং ডিজেলের শুল্কে ছাড় দেওয়ার পরে রাজ্য সরকারও পেট্রোপণ্যের উপরে তাদের প্রাপ্য ভ্যাটে ছাড় দিক, এই দাবিতে সোমবার আইন অমান্য করে বিজেপি। এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি মানা না হলে নবান্ন অভিযানের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে রাজ্য কেন ওই ভ্যাটে ছাড় দিতে অপারগ, সে ব্যাপারে সোমবারই স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন মমতা। মঙ্গলবার তিনি বিধানসভায় বলেন, “যারা আন্দোলনের আ জানে না, তারা আন্দোলনে নেমেছে। গণতন্ত্রে কুপোকাৎ হয়েও লজ্জা নেই। পেট্রোপণ্যের দাম থেকে চার লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র। ওই চার লক্ষ কোটি টাকা রাজ্যগুলোকে দাও। কোভিডের সময় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে।”

জবাবে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা কটাক্ষ, “ক থেকে চন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত যাঁরা জানেন, তাঁরা মাত্র ১০ বছরে রাজ্যকে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার দেনায় ডুবিয়েছেন। এই জাতীয় সঙ্কটের সময়ে রাজনৈতিক বিভাজনের রাস্তা ভুলে কেন্দ্র, রাজ্যের সমন্বয় জরুরি। মুখ্যমন্ত্রী সে দিকে দৃষ্টি দিলে রাজ্যবাসী স্বস্তি পাবে।”

Advertisement

পেট্রল এবং ডিজেলের শুল্কে কেন্দ্রের ছাড় দেওয়ার পিছনেও রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলে ইঙ্গিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। এখন উত্তরপ্রদেশে ভোট আসছে। তাই এক সমুদ্র জলের মধ্যে এক মুঠো নুন ফেলে দেওয়া হল। যখনই ভোট আসে, পেট্রল, ডিজেলের দাম সামান্য কমানো হয়। ভোট হয়ে গেলে পরের দিনই আবার তা বাড়ে।”

পেট্র, ডিজেলের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলার প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, “যখন পেট্রল-ডিজেল বিনিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল, তখন তৃণমূল সমর্থন করেছিল।” তাঁর দাবি, “নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় বসার পরে কেন্দ্র বাড়তি রোজগার করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যও বাড়তি কর পেয়েছে। মমতা দিল্লিকে ছাড় দিতে বলুন। একইসঙ্গে রাজ্যও ভ্যাটে ছাড় দিক।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement