ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা ভোটে রাজ্যে তারা ভাল সাফল্য পেয়েছে। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পরীক্ষা পুরভোট। ‘সেমি-ফাইনালে’র কথা মাথায় রেখে আসন্ন পুরভোটে কলকাতায় তৃণমূলের মোকাবিলায় বাছাই করা কিছু ওয়ার্ডে গুরুত্বপূর্ণ এবং নামী রাজ্য নেতাদের প্রার্থী করার কথা ভাবছে বিজেপি। দলের অন্দরের ভাবনায়, কলকাতার লড়াই জেলার পুরসভাগুলির তুলনায় কঠিন। সুতরাং, সেখানে কয়েকটি ওয়ার্ডে রাজ্য স্তরের পদাধিকারীদের প্রার্থী করলে খেলা কিঞ্চিৎ ঘোরানো যেতে পারে।
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের অন্দরে এই কৌশলের পক্ষে জোরালো সওয়াল করছেন মুকুল রায়। তিনি উদাহরণ দিচ্ছেন, ২০০৫ সালে বাম জমানায় যেমন কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো ‘হেভিওয়েট’ নেতারা। তার ফলে তৃণমূল বার্তা দিতে পেরেছিল, তারা পুরভোটে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে লড়ছে। ফলে ওই প্রার্থীরা হেরে গেলেও লড়াই হয়েছিল জবরদস্ত এবং তার মধ্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূলের জমি মজবুত হয়েছিল। এ বার পুরভোটে বিজেপিও সেই কৌশল নিলে আখেরে দলের লাভ হবে।
মুকুলবাবুকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার কয়েকটি ওয়ার্ডে রাজ্য স্তরের নেতারা প্রার্থী হলে দারুণ লড়াই হবে বলেই মনে হয়। দলে তা জানিয়েওছি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য নেতৃত্ব।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও মত, ‘‘আমরা রাজ্য নেতাদের কয়েক জনকে কলকাতার পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ করব। হিম্মত থাকলে তাঁরা লড়বেন!’’
আরও পড়ুন: শাহরিয়ারের ছবিতে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের ‘না’
দলীয় সূত্রের আরও খবর, কলকাতা পুরভোটের লড়াই সহজ করতে দলের দুই সাংগঠনিক জেলা দক্ষিণ কলকাতা এবং দক্ষিণ শহরতলিকে একসঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবছে বিজেপি। দলের অন্দরের বিশ্লেষণ—কলকাতায় দলের সংগঠন খুব মজবুত নয়। তাই ওই দুই জেলা মিলিয়ে দিলে পুরভোটের লড়াই একটু সুবিধেজনক হবে বলে দলের আশা।