অর্জুনের বাড়িতে হামলার অভিযোগের সঙ্গে ভবানীপুর উপনির্বাচনের যোগ দেখছে বিজেপি। ফাইল চিত্র
ভবানীপুরে উপনির্বাচনে বিজেপি-র সেনাপতির ভূমিকায় থাকবেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। গেরুয়া শিবির এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঙ্গলবার। আর বুধবার তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা সেই কারণেই বলে দাবি অর্জুনের। সেই দাবিকে সমর্থন করছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘ওষুধে কাজ হয়েছে। অর্জুন সিংহের বাড়িতে হামলার ঘটনা প্রমাণ করছে তৃণমূলনেত্রী ফের হারার ভয় পাচ্ছেন।’’
বুধবার ভোরে এক দল দুষ্কৃতী অর্জুনের ভাটপাড়ার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। অর্জুনের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন অর্জুনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানরা। তাঁদের সামনেই দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সাংসদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সকালেই সেই ঘটনা নিয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেই টুইটে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র বিষয়টি আরও এক বার তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল।অন্য দিকে, হামলার পরে সংবাদমাধ্যমকে অর্জুন বলেন, ‘‘আমায় ভবানীপুর উপনির্বাচনের ইনচার্জ বানানো হয়েছে। তাই আমার ঘরে হামলা হয়েছে। যাতে আমি ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাই। একমাস আগে রাজ্যপালকে জানিয়েছিলাম, আমাকে খুন করানোর চেষ্টা চলছে।’’
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী ভবানীপুরের দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানে ছিলেন অর্জুনও। এর পরেই গত বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর কলকাতার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা অর্জুনকে এ বার ভবানীপুরের ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবারের ঘটনা নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘ঠিক দায়িত্ব ঠিক মানুষকে দিতে পেরেছি আমরা। দায়িত্ব দেওয়ার পর পরই অর্জুন সিংহের বাড়িতে হামলা করেতৃণমূলতা বুঝিয়ে দিল।’’
যদিও এমন অভিযোগকে পাত্তা দিতে চাইছে না তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘শান্তিকামী, গাঁধীবাদী, অহিংস অর্জুনের সিংহের সঙ্গে বোমা-সন্ত্রাসের দীর্ঘদিনের বন্ধন। কাদের গোষ্ঠীবিবাদে কে ভেসে থাকতে চান, সেটা তাঁদের বিষয়। দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর লড়াইয়ে অর্জুন সিংহকে শিরোনামে থাকতে হবে। তাই এ সব অভিযোগ।’’