ফাইল চিত্র।
ভবানীপুরের উপনির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় আদালতের নির্দেশকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। ওই মামলায় সিবিআই এবং সিটকে দিয়ে দুই পর্যায়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ঘটনাচক্রে, ওই মামলায় আইনজীবী ছিলেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সেই দিকে ইঙ্গিত করে শনিবার দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘কোর্টে হারিয়েছি, ভোটেও হারাব। আমাদের বড় নেতা ছেড়ে দিন, তৃণমূল নেতৃত্ব আগে টিবরেওয়ালকে সামলান।’’ তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র তথা সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য পাল্টা বলেন, ‘‘কলকাতা হাই কোর্টে একটা রায় হয়েছে। কিন্তু সেখানে জেতা-হারা শেষ হয়নি। কারণ সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। আর ওই রকম দলদাস মানবাধিকার কমিশনকে দিয়ে কাজ করালে— আম্পায়ার, রেফারি, থার্ড আম্পায়ার সব নিজেদের লোক হলে ও রকম হয়। রাজ্যের ২১৩টি আসনের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন। জনগণের এই মূল বার্তাটা ভুলে সস্তা সংলাপ দিয়ে লাভ হবে না।’’
অন্য দিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন ঝাড়গ্রামে দাবি করেছেন, ‘‘বিজেপি ভবানীপুরে অত্যন্ত শক্তিশালী।’’ যদিও গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছিলেন। কিন্তু শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘এই বছরের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ভবানীপুরকে বিচার করা যাবে না। কারণ, এই ভোটের আগে বেশ কিছু তৃণমূলপন্থী মিডিয়া অপপ্রচার করে শিক্ষিত ও সচেতন ভোটারকে ভোটদানে বিরত করেছে।’’ প্রসঙ্গক্রমে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ভবানীপুরের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টিতে বিজেপির এগিয়ে থাকার কথা মনে করিয়ে দেন।
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর যুক্তি মানলে বলতে হয়, ২০১৯ সালে বা এ বারেও যে আসনগুলিতে ওঁর বর্তমান দল জিতেছে, সেগুলিতে মিডিয়া ওঁদের হয়ে অপপ্রচার করেছিল। আর ওঁরা ২০১৯ সালের নির্বাচনের ফল দেখিয়ে ২০২১-এর ভোটে নেমেছিলেন। তাতে পর্যুদস্ত হয়ে এখন ২০১৬ দেখিয়ে বলছেন, তিন বিধায়কের দল থেকে ৭৭ বিধায়কের দল হয়েছি। ওঁদের এই সব চাতুরি প্রমাণ করে দেয়, ওঁরা কতটা বেকায়দায়।’’
ভবানীপুর কেন্দ্রে ‘জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’র (জেডিপি) প্রার্থী হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞা গ্রামের শের আলম শেখ। যদিও তিনি বলেন, “দল বলেছে বলেই প্রার্থী হয়েছি।’’