পঞ্চায়েত রণকৌশল ছাড়াও বুথে সংগঠনের অবস্থা জানতে চাইতে পারেন শীর্ষ নেতৃত্ব। ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে আগামী সোমবার দিল্লিতে সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকতে চলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার আগে রাজ্যের দুই শীর্ষ নেতার বিরোধ মেটার লক্ষণ নেই।
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ এই বৈঠক ডেকেছেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, বাংলার পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, সহ-পর্যবেক্ষক আশা লকড়া, অমিত মালবীয়, বঙ্গ বিজেপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্ডদের। সংসদীয় দলের বৈঠক হলেও পরিষদীয় দলের নেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, প্রথমে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সূত্রের খবর বৈঠক হতে চলেছে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের বাড়িতে।
পঞ্চায়েত রণকৌশল ছাড়াও বুথে সংগঠনের অবস্থা জানতে চাইতে পারেন শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে গোষ্ঠী-কোন্দল রুখতেও কড়া বার্তা দিতে পারেন তাঁরা। তাই ওই বৈঠকের আগে শুক্রবার বিজেপির রাজ্য কমিটির কার্যকরী সভা বসতে চলেছে।
বিজেপির দুই শীর্ষ নেতৃত্বের কথার লড়াই মঙ্গলবারও জারি রয়েছে। হাজরার জনসভা থেকে সোমবার নাম না করে দিলীপকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “আমি গিমিকে বিশ্বাস করি না। আমি প্রাতর্ভ্রমণ করতে গিয়ে মিডিয়াতে বাইট দিয়ে বেড়াই না! আমি দায়িত্ব নিয়ে কথা বলি।” দিল্লি থেকে দিলীপের পাল্টা, “প্রাতর্ভ্রমণ করতে গেলে দম লাগে। সকালে উঠতে হয়। এখন আমায় প্রাতর্ভ্রমণ করতে দেখে অনেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন।” সব মিলিয়ে দুই শীর্ষ নেতার কথার লড়াইয়ে আসন্ন বৈঠক থেকে শীর্ষ নেতৃত্বে কী বার্তা দেন, সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্য বিজেপি।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার কেশব ভবনে সমন্বয় বৈঠক ডেকেছে আরএসএসের বঙ্গ শাখা। সংসদীয় বৈঠকে ডাক পেলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ডাক পাননি শুভেন্দু। ডাকা হয়েছে সুকান্ত, দিলীপ, অমিতাভদের। দলের এক সূত্রের দাবি, যে-হেতু দলের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক, তাই সংগঠনের পদাধিকারীদেরই ডাকা হয়েছে বৈঠকে। আরএসএসের পূর্বাঞ্চলীয় সঙ্ঘচালক অজয় নন্দী অবশ্য একে ‘রুটিন বৈঠক’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।