পুরভোটে শোচনীয় পরাজয়ের পর রাজ্য বিজেপি-তে এখন ডামাডোল তুঙ্গে। বিপর্যয়ের জন্য নেতাদের দায়ী করে রাজ্য নেতৃত্বে পরিবর্তনের দাবি তুলছেন দলের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতারা ব্যর্থতার দায় চাপাচ্ছেন কর্মীদের কাঁধেই।
বাগবাজারের ঐকতান হলে মঙ্গলবার বিজেপি-র ‘মহাসম্পর্ক স্থাপন অভিযান’ নিয়ে কর্মিসভায় দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এবং কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ বলেন, পুরভোটে খারাপ ফলের জন্য অনেকে নেতাদের দায়ী করছেন। কিন্তু ভোটের সময়ে বুথে কর্মী বসাতে না পারলে নেতারা কী করবেন? অর্থাৎ খারাপ ফলের দায় ঘুরিয়ে কর্মীদের ঘাড়েই চাপাতে চেয়েছেন দুই নেতা।
গত বছর নভেম্বর থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশেই বিজেপি-র সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলেছে। সেখানে একটি নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে মিস্ড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সুযোগ ছিল। এ বার নতুন সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করা, তাঁদের ভাবমূর্তি যাচাই করে ঝাড়াই-বাছাই করার কাজ শুরু করতে চলেছে বিজেপি। দলের বুথ স্তরের কর্মীরা নতুন সদস্যদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজটা করবেন। তার জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ দেবেন ব্লক সভাপতিরা। তার আগে তাঁদের জেলা সভাপতিদের কাছ থেকে ওই পদ্ধতি শিখে নিতে হবে। সে জন্যই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ, রাহুলবাবু, সিদ্ধার্থনাথ, কেন্দ্রীয় নেতা ভূপিন্দর যাদব ‘মহাসম্পর্ক স্থাপন অভিযান’-এ জেলা সভাপতি এবং সর্বক্ষণের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেন। সেখানেই রাহুলবাবু এবং সিদ্ধার্থনাথ পুরভোটে পরাজয়ের দায় চাপান কর্মীদের উপর। যদিও প্রকাশ্যে দোষারোপের প্রসঙ্গে মুখই খোলেননি দুই নেতার কেউ।