মোদীর জন্য অন্য মাঠ, জট কাটল না শাহের সভা নিয়ে

মঙ্গলবার কাঁথিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের প্রস্তাবিত সভার জন্য কোনও জায়গা ব্যবহারের প্রশাসনিক অনুমতি রবিবার রাত পর্যন্ত বিজেপি পায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাইঘাটা ও তমলুক শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৩২
Share:

ফাইল চিত্র।

চাপানউতোর কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ঠাকুরনগরের কামনাসাগর মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা হবে বলে ঠিক হল। আগামী ২ ফেব্রয়ারি ওই মাঠে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশ করতে আসবেন বলে ঠিক হওয়ার পরে সভাস্থল ঘুরে দেখে গিয়েছেন তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি কর্তারা। তবে কাল, মঙ্গলবার কাঁথিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের প্রস্তাবিত সভার জন্য কোনও জায়গা ব্যবহারের প্রশাসনিক অনুমতি রবিবার রাত পর্যন্ত বিজেপি পায়নি।

Advertisement

ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়ির মেলার মাঠেই প্রধানমন্ত্রীর সভা করতে চেয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুরেরা। কিন্তু ওই মাঠে মতুয়াদের সম্মেলনের জন্য আগেই প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে রেখেছেন বনগাঁর তৃণমূল সাংসদ তথা আদি ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘে’র সঙ্ঘাধিপতি মমতা ঠাকুর। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই মাঠে মতুয়া সম্মেলনে মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে আজ, সোমবার থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

সাংসদ মমতার বক্তব্য, ‘‘ওই মাঠে মতুয়া ধর্মের সম্মেলন করার জন্য আমরা আগে থেকেই প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এখানে সভা করবেন বলে আমরা কিছু জানি না। আর প্রধানমন্ত্রীর সভা করা বা না করা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’’ প্রকাশ্যে তৃণমূল প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সভাকে গুরুত্বই দিতে চাইছে না। দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর সভার বিরোধিতা করার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। কারণ প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরনগরে এলেও বিজেপি জেলায় জিরো, না এলেও জিরো!’’

Advertisement

শান্তনুর অবশ্য অভিযোগ, ‘‘মেলার মাঠে ধর্মীয় সভার নামে ছলনা করা হয়েছে! তাই আমরা কামনাসাগরের মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভা করছি।’’ আবার রাজ্য় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘কামনাসাগরের মাঠে মেলার মাঠের চেয়ে বেশি লোক ধরে বলে এটাই বাছা হল।’’

কাঁথি স্টেশন সংলগ্ন ময়দানে কাল শাহের সভার অনুমতি পাওয়া নিয়েও বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব ও প্রশাসনের আলাদা বক্তব্য। বিজেপি-র কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন মাইতির দাবি, ‘‘যাবতীয় নিয়ম মেনেই প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে সভা আয়োজনে কোনও বাধার কথা বলা হয়নি।’’ তবে কাঁথি থানা সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত সভাস্থলে একাধিক লোকের জমি রয়েছে। তেমনই ১৯ জন জমি-মালিক ওই সভা করায় আপত্তি জানিয়ে শনিবার কাঁথি থানায় চিঠি দিয়েছেন। জেলা পুলিশ সুপার ভি সলোমন নেসাকুমারকে এ দিন বার বার ফোন এবং টেক্সট মেসেজ করেও জবাব মেলেনি। তবে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কাঁথি স্টেশনের কাছে বিজেপির সভার জন্য এখনও অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’ যদিও তপনবাবুর দাবি, শাহের সভা হবেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement