municipal election

Municipal Byelection 2022: রাজ্যে দুই ওয়ার্ডের ভোটে অশান্তি, দায় নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতর

রাজ্যের দুই ওয়ার্ডের ভোটে অশান্তির অভিযোগ। তৃণমূলের মতে, মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন বিরোধীরা। বিজেপির কথায়, ভোটে সন্ত্রাস করা তৃণমূলের সংস্কৃতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২২ ১৭:০২
Share:

উপনির্বাচনে অশান্তির অভিযোগ করল বিরোধীরা। মানতে নারাজ তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের দু’টি ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণে বিরোধীদের অশান্তির অভিযোগ খারিজ করল তৃণমূল। ভোটে অশান্তি নিয়ে রবিবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘জনভিত্তি না থাকার কারণে নজর ঘোরাতে রাস্তাঘাট বন্ধ করছে বিরোধীরা।’’ অন্য দিকে, যে কোনও ভোটে গন্ডগোল করা তৃণমূলের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে কটাক্ষ বিজেপির।

Advertisement

রবিবার বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং আসানসোল পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। এই ভোটে কয়েকটি জায়গায় অশান্তির অভিযোগ ওঠে। আসানসোলে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনায় এক জন জখম হন। এই ঘটনায় মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। আবার বনগাঁ থেকেও মারপিট এবং অশান্তির অভিযোগ আসে। বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারকে নিগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে কিছু ক্ষণের জন্য পথ অবরোধ করে রাখে বিজেপি। এ ছাড়া সেখানে অশান্তির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ দেখায় বাম ও কংগ্রেস। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা।

Advertisement

এ নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করে কুণাল বলেন, ‘‘মানুষ থেকে তারা বিচ্ছিন্ন। একটিও লোক নেই সিপিএম, বিজেপির। কর্মীদের কাছে নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। সেই জন্য নজর ঘোরাতে রাস্তাঘাট অবরোধ করে নাটক করছে।’’ এই ভোটে অশান্তি প্রসঙ্গে কুণালের মন্তব্যের সমালোচনা করেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ভোটে অশান্তি করে তৃণমূল নিজেদের সংস্কৃতি বজায় রেখেছে। গন্ডগোল করে বাংলার মানুষকে তৃণমূল যে সংস্কৃতি দেখিয়েছে, এখন সেটাই পালিত হচ্ছে।’’

ওয়ার্ডের উপনির্বাচনেও ভাল ভোট পড়েছে বনগাঁ পুরসভায়। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮২.৭১ শতাংশ। আসানসোল পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট পড়েছে ৮২.৬২ শতাংশ। এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন আসানসোলের বর্তমান মেয়র বিধান উপাধ্যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement