সভা করতেও কোর্টে যেতে হয়, ক্ষোভ বিজেপির

তিনি তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গে সভা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীকেও আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় বলে আজ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০০
Share:

প্রতীকী ছবি

তিনি তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গে সভা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীকেও আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় বলে আজ মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে এমন কর্মসূচিতে প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। এতে রাজনীতি নেই।

Advertisement

রাজ্যে বিজেপির রথযাত্রার বিষয়টি এখনও আদালতে বিচারধীন। আইনি প্যাঁচে আদৌ রথযাত্রা হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান রাজ্য বিজেপির একাংশ। অন্য দিকে বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্বও।

রাজনৈতিক তরজার ওই আবহে আজ মুখ খোলেন অমিত শাহ। একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যদি কেউ পশ্চিমবঙ্গের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে, তা হলে দল তার শেষ দেখে ছাড়বে।’’ এর পরেই তিনি বিজেপির রথযাত্রা আটকে দেওয়ার প্রশ্নে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হন। অমিত বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশের একটি অঙ্গরাজ্যে বিজেপির মতো দলকে রথযাত্রা বা রাজনৈতিক সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী সেখানে যেতে চান। আমি যেতে চাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেতে চান। আমাদের আটকানো হচ্ছে। আমরা তাই আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্যও আদালতে যেতে হচ্ছে!’’

Advertisement

পাল্টা জবাবে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়াতে পারে সেই আশঙ্কায় রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এর পিছনে রাজনীতি নেই। আর সিবিআই থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, নির্বাচন কমিশন— সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে কী ভাবে বিজেপি শেষ করে দিয়েছে তা সবাই জানেন। যার প্রতিবাদে তৃণমূল ফি দিন সংসদে সরব হচ্ছে।’’

কয়েক মাস বাদেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পাঁচ রাজ্যের ভোটে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। যদিও সেই ফলাফলকে পাত্তা দিতে নারাজ অমিত। তাঁর কথায়, ‘‘লোকসভা ও বিধানসভা ভোট এক নয়।’’ অমিতের দাবি, ‘‘ওড়িশা, উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গে আশাতীত ভাল ফল করবে বিজেপি।’’ পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসনের মধ্যে অন্তত ২০টি বিজেপি জিতবে বলে দাবি অমিতের। তাঁর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন স্তব্ধ। রাজ্যের মানুষ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। তাই ভয় পেয়ে তৃণমূল সরকার আমাদের সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না।’’ অমিত শাহের ওই দাবি শুনে সুদীপবাবুর কটাক্ষ, ‘‘যে দু’টো আসন বিজেপি জিতেছিল, এ বার সে দু’টি ধরে রাখতে পারবে তো বিজেপি?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement